জুম্মার দিনে যে দুরূদ পাঠ করলে ৮০ বছরের গুনাহ মাফ হয়

জুম্মার দিনে যে দুরূদ পাঠ- আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মাদ (সা:)-এর শান্তির প্রার্থনার উদ্দেশ্যে দুরূদ পাঠ করা হয়ে থাকে। এটি একটি ফার্সি শব্দ যা মুসলমানদের মুখে বহুল ব্যবহারের কারণে ১৭শ শতাব্দীতে বাংলা ভাষায় অঙ্গীভূত হয়ে যায়।

বৃহত্তর অর্থে হযরত মুহাম্মদ (সা:)-এর প্রতি এবং তাঁর পরিবার-পরিজন, সন্তান-সন্ততি এবং সহচরদের প্রতি আল্লাহ্‌র দয়া ও শান্তি বর্ষণের জন্য প্রার্থনা করাই দুরূদ। দুরূদকে প্রায়ই সম্মানসূচকভাবে ইসলামী পরিভাষায় “দুরূদ শরীফ”ও বলা হয়ে থাকে।

হযরত মুহাম্মদ (সা:)-এর নাম উচ্চারণের সময় সর্বদা “সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম” (অর্থ: আল্লাহ’র শান্তি বর্ষিত হোক তাঁর উপর) বলা হয়, যা একটি দুরূদ।

একটি দুরূদের অর্থ এরকম: “হে আল্লাহ, মুহাম্মদ (সা:)-এর প্রতি আপনি দয়া পরবশ হোন। তাঁর আলোচনা ও নামকে আপনি এই পৃথিবীর সকল আলোচনা ও নামের মাঝে সর্বোচ্চ স্থানে রাখুন।”

মহানবী হয়রত মোহাম্মদ সা. জুমার দিনের গুরুত্ব ও তাৎপর্য সম্পর্কে একটি হাদিস আলোচনা করেছেন। শুক্রবার জুমাবার হওয়ার এর গুরুত্ব সম্পর্কে একটি সুরাই আল্লাহ তায়ালা নাজিল করেছেন। সুরাতুল জুমা। আমলে মহান আল্লাহ তায়ালা বিশেষ কিছু সওয়াব নিহিত করেছেন। এসব বিশেষ আমলের মাঝে রয়েছে আল্লাহর পক্ষ থেকে গুনাহ মাফ ও বিভিন্ন নফল ইবাদতের সুযোগ।

জুমার দিনের একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল সম্পর্কে হযরত আবু হুরাইরা (রা.) হতে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন আসর নামাজের পর না উঠে ওই স্থানে বসা অবস্থায় ৮০ বার নিম্নে উল্লেখিত দুরূদ শরিফ পাঠ করবে, তার ৮০ বছরের গুনাহ মাফ হবে এবং ৮০ বছরের নফল ইবাদতের সওয়াব তার আমল নামায় লেখা হবে ।

দোয়াটি হলো : আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিনিন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি ওয়া আলা আলিহী ওয়াসাল্লিম তাসলীমা

জুমার দিনের আরও কিছু আমলের মধ্যে রয়েছে। জুমার দিনে সূরা কাহ্ফ তিলাওয়াত করলে কিয়ামতের দিন আকাশতুল্য একটি নূর প্রকাশ পাবে। বেশি বেশি দুরূদ শরিফ পাঠ করা এবং বেশি বেশি জিকির করা মুস্তাহাব।

জুমার রাত (বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত) ও জুমার দিনে নবী করিম (সা.) এর প্রতি বেশি বেশি দুরূদ পাঠের কথা বলা হয়েছে। এমনিতেই যে কোনো সময়ে একবার দুরূদ শরিফ পাঠ করলে আল্লাহ তায়ালা পাঠকারীকে দশটা রহমত দান করেন এবং ফেরেশতারা তার জন্য দশবার রহমতের দোয়া করেন।

জুমার নামাজের পূর্বে দুই খুতবার মাঝখানে হাত না উঠিয়ে মনে মনে দোয়া করা। সূর্য ডোবার কিছুক্ষণ আগ থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত গুরুত্বের সাথে জিকির, তাসবীহ ও দোয়ায় লিপ্ত থাকা।