পাকিস্তানে রীতিমতো জনবিস্ফোরণ ঘটেছে। পাকিস্তানের অর্থনীতি কঠিন অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। এই অবস্থায় জনসংখ্যা এভাবে বাড়তে থাকলে দুর্ভোগ বাড়বে। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞরা। তবে এসব আবার অনেকে মানতে রাজি নন। তারা জানাচ্ছেন, আল্লাহ্ই ব্যবস্থা করবেন।
দক্ষিণ এশিয়ার শিশু জন্মের হারে শীর্ষে পাকিস্তান। প্রতি মহিলা তিন সন্তান জন্ম দেন সেদেশে। বিশ্ব ব্যাঙ্ক ও সরকারের প্রাথমিক তথ্য থেকে অনুমান এই জন্মের হার অপরিবর্তিত রয়েছে। গুলজার খানের ৩৬টি ছেলেমেয়ে।
৫৭ বছরের গুলজার পাকিস্তানের বান্নু শহরের বাসিন্দা। তার তিনটি স্ত্রী। ৩৬টি বাচ্চার পরেও তৃতীয় স্ত্রী সন্তানসম্ভবা।
৩৬টি ছেলেমেয়ের পরেও কেন সন্তান নিচ্ছেন তিনি?
গুলজারের যুক্তি, “আল্লাহ গোটা দুনিয়া মানুষের জন্য বানিয়েছেন। কেন আমি বাচ্চা হওয়ার এই প্রক্রিয়া থামাব? ইসলামের পরিবার পরিকল্পনা করতে বারণ। আমরা শক্তিশালী হতে চাই।” ২৩টি বাচ্চাকে পাশে বসিয়ে তার রসিক মন্তব্য, “ওদের ক্রিকেট খেলার জন্য বন্ধুদের দরকার পড়বে না।”
তার ভাই মস্তান খান ওয়াজির খানের ২২টি ছেলেমেয়ে। তিনিও তিনটি বিবাহ করেছেন। ওয়াজিরের কথায়, আমার নাতিনাতনির সংখ্যা অনেক। সেটা বলতে পারব না। তার কথায়, আল্লাহ তো বলেছেন তিনিই সব কিছু দেবেন। তাঁকে বিশ্বাস করি আমি। বালোচিস্তানের জান মোহাম্মদের ছেলেমেয়ের সংখ্যা ৩৮।
তিনি আবার একশোটি বাচ্চার বাবা হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন।এজন্য তিনি চতুর্থ বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে ভাল মেয়ে পাচ্ছেন না। পেলেই বিয়ে করবেন। এবং ‘শতরানকারী’ বাবা হবেন। জান মহম্মদের ব্যাখ্যা, “মুসলিমদের জনসংখ্যা বাড়া উচিত। তাতে গোটা বিশ্ব আমাদের ভয় পাবে।”
পাকিস্তানে বহুবিবাহ আইনসিদ্ধ। তবে তেমন ঘটনা কম বলেই দাবি পাক প্রশাসনের। খান পরিবারে বহুবিবাহের প্রচলন নেই। ১৯৯৮ সালে শেষ জনগণনায় পাকিস্তানে জনসংখ্যা ছিল সাড়ে তেরো কোটি। এই জনসুমারিতে সেটা ২০ কোটিতে পৌঁছে যাবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
পাকিস্তানের মতো দেশে জনবিস্ফোরণ ঘটলে তা অর্থনীতির পক্ষে মঙ্গলদায়ক নয়। সে দেশে প্রায় ৬ কোটিরও বেশি মানুষ দারিদ্র সীমার নিচে বাস করছে।