শহরের বুকে বন্দুক ঠেকিয়ে দু’কান কেটে দিল ২০ বছরের বড় বিবি। খোদ কলকাতার নারকেলডাঙা থানা এলাকার ৭৭/১১ নর্থ রোডের ঘটনা। আহত যুবক মুহম্মদ তানবীরকে (২০) আশঙ্কাজনক অবস্থায় নীলরতন সরকার হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। অভিযুক্ত মুমতাজ় বিবি (৪০) পলাতক।
২০ বছরের বড় মুমতাজ়ের প্রেমে পড়ে যান তানবীর। দু’বছর আগে বিবাহ হয় দু’জনের। বিয়ের পর মুমতাজ়ের বাড়িতেই থাকতে হত তানবীরকে। কোথায় যাবে, কী করতে যাবে, সব কিছুরই কৈফিয়ৎ দিতে হত তাঁকে। আম্মির সঙ্গেও দেখা করতে দিত না বিবি। অবাধ্য হলেই চলত অত্যাচার। বয়সে এতটাই ছোটো, মুখ বুজে সব সহ্য করতে হত তানবীরকে। ছেলের উপর অত্যাচার দেখে মুমতাজ়ের সঙ্গে টাকা দিয়ে রফা করতে যান তানবীরের আম্মি। নিজের একটি বাড়ি বিক্রি করে মুমতাজ়কে টাকা দেন। কিন্তু, তাতেও কোনও লাভ হয়নি। তানবীরকে ছাড়েনি মুমতাজ়।
গতকাল সকালে বিবির চাপ সহ্য করতে না পেরে মল্লিকপুরে পালিয়ে গেছিল তানবীর। সেখান থেকে তাঁকে তুলে আনা হয়। গতরাতে মুমতাজ় ও তার বোনেরা তনবীরকে বন্দুক দেখিয়ে অত্যাচার শুরু করে। এরপর তাঁর দুই কান কেটে দেওয়া হয়। মুমতাজ়রা এই কাণ্ড ঘটানোর পর ভাবেন, মারা গেছেন তনবীর। কিন্তু রক্তাক্ত অবস্থায় ওখান থেকে কোনও ভাবে পালান তিনি। খবর দেন বাড়িতে। পরিবারের লোকজন এসে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
ঘটনায় নারকেলডাঙা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পরিবারের অভিযোগ, পুলিশ এখনও কোনও ব্য়বস্থা নেয়নি। ঘটনার পর থেকে পলাতক মুমতাজ় ও তাঁর বোনেরা।