দাফনের এক বছর পরও অক্ষত রোহিঙ্গা নারীর লাশ

টেকনাফে দাফনের এক বছর পর অক্ষত অবস্থায় পাওয়া গেল এক রোহিঙ্গার লাশ। বুধবার (১৮ জুলাই) সকালে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড হাবিরছড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী সিরাজুল ইসলাম বলেন, গত কোরবানীর ঈদের কয়েকদিন পর মিয়ানমারের বৌদ্ধদের নির্যাতনে রাখাইন রাজ্য ছেড়ে পালিয়ে আসার সময় বঙ্গোপসাগরে নৌকাডুবে ৪ রোহিঙ্গা নারীর লাশ আমাদের পশ্চিমের সৈকতে ভেসে আসে। মুসলমান হিসাবে স্থানীয়দের সহযোগিতায় জানাজা নামাজ পড়ে ৩ জনকে দরগারছড়া-হাতিয়ার ঘোনা কবরস্থানে ও একজনকে হাবিরছড়া সাগর পাড়ের ঝাউবনে দাফন করা হয়। বর্ষার পানি ও জোয়ারের তোড়ে হাবিরছড়ার ঝাউবাগান প্রায় বিলিন হয়ে যায়।

আজ বুধবার সকালে জেলেরা সাগরে মাছ শিকারে যাওয়ার সময় ১ বছর আগে দাফন করা ঐ অজ্ঞাত রোহিঙ্গা নারীর লাশ দেখতে পায়। এ খবর সর্বত্র ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজন ঐ নারীর অক্ষত লাশ হাবিরছড়া কবরস্থানে নিয়ে আবার দাফনের ব্যবস্থা করেন।

হাবিরছড়া জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মুহিউদ্দিন বলেন, ‘আমি জীবনে এই প্রথম আজ একজন প্রকৃত শহীদ দেখতে পেয়েছি, লাশটি আমি সাগরপাড় থেকে যুবকদের সহযোগিতায় এনে নিজ হাতে দাফন দিয়েছি।’

সৈয়দ আহমদ নামে স্থানীয় একজন বলেন, এক বছর আগে আমরা ঝাউবনে লাশটি দাফন করেছিলাম, সে দিন যেভাবে দেখেছি আজও একই ভাবে আছে।

চট্টগ্রাম শোলকবহর মাদরাসার সিনিয়র শিক্ষক মুফতি হাফিজ উল্লাহ বলেন, কাফেরদের জুলুমে মৃত্যুবরণ করা মানুষটি হয়ত একজন খাঁটি ঈমানদার ছিলেন, তাই আল্লাহ তাঁকে শহীদী মার্তাবা দান করেছেন। এ রকম ঘটনা থেকে মুসলমানদের শিক্ষা নেয়া চাই।