তালাকপ্রাপ্ত এই নারী না পাবে ঔষধ, না পাবে জানাজা!

তালাকপ্রাপ্ত এই নারী – তিন তালাকের মাধ্যমে বিবাহ বিচ্ছিন্না এক মহিলার সঙ্গে মেলামেশার উপর ফতোয়া জারি করা হল। নির্দেশ দেওয়া হল নিদা খান নামে ওই মহিলার সঙ্গে কেউ যেন কথা না বলে। তিনি যদি অসুস্থ হয়ে পড়েন তাহলে তাঁকে দেওয়া যাবে না কোন ঔষধও। অবশ্য ব্যাপারটা এখানেই শেষ হয়ে যাচ্ছে না। ফতোয়ায় আরও বলা হয়েছে যে, ওই মহিলার মৃত্যু হলে তাঁকে কবর দিতে দেওয়া হবে না। সামিল হওয়া যাবে না শেষকৃত্যেও। যে বা যারা এই নির্দেশ অমান্য করবে তাদেরও এমন ফল ভুগতে হবে। এমনই এক ফতোয়া জারি করেছেন মুফতি খুরশিদ আলম নামে স্থানীয় এক প্রভাবশালী ধর্মগুরু।

জানা গেছে, তিন বছর আগে নিদার সঙ্গে উসমান রেজা খান নামে এক লোকের বিয়ে হয়। মাত্র এক বছরের মাথায় তাদের সংসার ভেঙে যায়। তিনবার তালাক উচ্চারণ করে সম্পর্ক শেষ করেন স্বামী। তবে এই ঘটনাকে জীবনের নিয়তি বলে মানতে রাজি হননি নিদা। আদালতে মামলা করেন এবং জিতেও যান তিনি। আর সেটাই আছে ফতোয়া জারির মূল।

কারণ নিদা যা করেছেন তা নাকি ইসলাম বিরোধী। তাই এই মহিলার সঙ্গে যোগাযোগ রাখা চলে না বলেই মনে করেন ওই ধর্মগুরু। নিজের অনুগামীদের উপর তাঁর অগাধ আস্থা। তবে নিদা যদি এমন ‘ইসলাম বিরোধী’ কাজের জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমা চান তাহলে অবশ্য ফতোয়া প্রত্যাহার করার ব্যাপারে ভাবনা চিন্তা করা হবে।

সে পথে হাঁটার ভাবনা নেই নিদার এমনকি আগেও ছিল না। আদালত তাঁর পক্ষে রায় দেওয়ার পর জনসচেতনতা বাড়ানোর কাজ শুরু করেছেন তিনি। শুধু তিন তালাক নয় নিকাহ হালাল হবার বিরুদ্ধেও সুর ছড়িয়েছেন। এই ফতোয়া জারি প্রসঙ্গে তিনি বলছেন, এ ধরনের কাজ যারা করে তাদের পাকিস্তানে চলে যাওয়া উচিত। ভারতের মতো গণতান্ত্রিক দেশে কেউ কারও বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি করতে পারে না। আর কে অপরাধী সেটা বিচারের অধিকার আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কারো নেই।