পরকীয়া অনেক নোংরা একটি পর্যায়ে চলে গেছে বর্তমান সময়ে।প্রতিনিয়ত দেশে- বিদেশে ঘটছে পরকিয়ার ঘটনা। পরকিয়ায় আসক্ত হয়ে স্বামী চলে যাচ্ছে অন্য নারীকে নিয়ে আবার স্ত্রী উধাও হচ্ছে প্রেমিকের হাত ধরে এমন ঘটনা ঘটছে ।
রাজশাহীর তানোর থানা পুলিশের এ এস আই শরিফুল ইসলামের ব্যক্তিগত সোর্স মাদকসেবী মামুন, মাদক বিক্রেতার স্ত্রীকে নিয়ে উধাও হয়ে গেছেন। বুধবার (১১ জুলাই) দুপুরে দু’টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় এলাকায় সমোলোচনার ঝড় উঠেছে। তানোর থানা পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, এ এস আই শরিফুল ইসলামের ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে প্রায় ২ বছর ধরে কাজ করেন তানোর পৌর শহরের ধানতৈড় গ্রামের রেজু মন্ডলের পুত্র মাদকসেবী মামুন।
সে তানোরের প্রতিটি মাদক স্পট থেকে নিয়মিত ভাবে শরিফুল ইসলামের সোর্স হিসেবে যাতায়াত করতেন। মামুন কৌশলে তানোর পৌর শহরের আলতাব হোসেনের পুত্র মাদক ব্যবসায়ী রিপন আলীকে (৩০) গত ফেব্রয়ারী মাসের শেষের দিকে আর্মস পুলিশ ব্যাটেলিয়নের কাছে হাতেনাতে ফেন্সিডিলসহ আটক করান। এরপর রিপনকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন পুলিশ।
এদিকে রিপনের স্ত্রী শান্তা (১৯) স্বামী ঘরে না থাকায় সেই মাদক সেবী মামুনের (২ সন্তানের জনক ) সাথে পরকীয়া প্রেমে লিপ্ত হন। গত বুধবার রিপন জামিন পেয়ে বাড়ি আসার পর তার স্ত্রীকে তার বাসায় না পেয়ে সন্ধ্যায় সরনজয় ইউপি এলাকায় চকপাড়া গ্রামে তার শ্বশুর আনসার আলীর বাড়িতে যান। সেখানে গিয়ে জানতে পারেন ডিবি পুলিশ পরিচয় দেওয়া মাদকসেবী মামুন তাকে জামিন করার জন্য কোর্টে নিয়ে গেছেন। তাদের দু’জনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে বন্ধ পাওয়া যায়।
এ ঘটনার ব্যপারে এ এস আই শরিফুল ইসলাম জানান, আমি পাবনার রুপপুরে প্রধানমন্ত্রীর ডিউটিতে আছি। তবে মামুনের বিষয়টি শুনেছি, তার সঙ্গে অামার কথা হয়েছে মোবাইলে। তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ সে এরকম কোন কাজ করেনি বলে আমাকে জানিয়েছে।তবে ঘটনার শুষ্ঠ তদন্ত চলছে ।