ইহরাম বাঁধা হজ্জ ও ওমরার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ । ইহরাম বাঁধতে হয় নির্দিষ্ট স্থান থেকে।ইহরামের রয়েছে সুনির্ধারিত কিছু নিয়মাবলী ও কাজ। তা পালন করতে হবে নতুবা হজ্জ ও ওমরা পূর্ণ হবে না।
হজ ও ওমরার গুরুত্বপূর্ণ ও প্রথম বিষয় হলো ইহরাম। নির্দিষ্ট স্থান থেকে হজ ও ওমরার নিয়তে নির্ধারিত নিয়মে ইহরাম বাঁধতে হয়। ইহরামের রয়েছে সুনির্ধারিত কিছু নিয়মাবলী ও কাজ। যা যথাযথ আদায় করতে হয়।ইহরামের পোশাক, ইহরামের জন্য নির্ধারিত মিকাত, ইহরামের বিধি-নিষেধ সম্পর্কিত বিষয়গুলো ইতিপূর্বে তুলে ধরা হয়েছে।
কিন্তু ইহরাম অবস্থায় সেলাইবিহীন দুটি কাপড় ছাড়া যে সব পোশাক পরিধান করা যাবে না, সে সম্পর্কেও প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সুস্পষ্ট বর্ণনা দিয়েছেন-হজরত ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, এক লোক দাঁড়িয়ে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞাসা করলেন, হে আল্লাহর রাসুল! (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে আপনি ইহরাম অবস্থায় কি ধরণের পোশাক পরিধান করার নির্দেশ দেন?
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ‘জামা, পাজামা, টুপি, পাগড়ি ও মোজা পরিধান করবে না। তবে কোনো লোকের জুতা না থাকলে সে চামড়ার মোজা পরিধান করবে; যা পায়ের গোছার নিচে থাকে।
জাফরান ও ওয়ারাস রংয়ের কোনো পোশাক তোমরা পরিধান করবে না।
ইহরামকারী নারীরা মুখ ঢাকবে না এবং হাতে দস্তানা (মোজা) পরিধান করবে না।’ (বুখারি, মুসলিম তিরমিজি, আবু দাউদ)
সুতরাং ইহরামকালীন সময়ে পুরুষরা সেলাইবিহীন দুটি কাপড় পরিধান করবে; আর নারীরা শালীন পোশাক পরিধান করবে।
আল্লাহ তাআলা হজ ও ওমরা পালনে মুসলিম নারী-পুরুষকে ইহরামকালীন সময়ে ইহরামের যাবতীয় বিধি-নিষেধগুলো যথাযথ আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।