এই বর্ষায় নিজের যত্নের পাশাপাশি নজর দিন নিজের পোষা প্রাণীটির দিকেও৷ বর্ষা মানেই বাড়তি সতর্কতা। এই সময় দেওয়াল, মেঝে স্যাঁতস্যাতে হয়ে যায়৷ এমনকি আর্দ্রতা বেশি থাকায় সবার অজান্তেই ব্যাকটেরিয়া, পোকামাকড়ের প্রকোপ বেড়ে যায়। এতে শরীরে নানা ধরনের সমস্যার পাশাপাশি বাড়ির পোষ্যটিরও সমস্যার শেষ থাকে না৷
প্রথমেই বাড়ির দেওয়াল, ফলস সিলিং পানিরোধক ট্রিটমেন্ট করিয়ে নিন৷ দীর্ঘসময় ভেজা থাকলে দেওয়ালসহ নষ্ট হয়ে যেতে পারে মূল্যবান ওয়ালপেইন্টও। এতে ঘরের আবহাওয়ায় শুকনো থাকে না৷ পোষা কুকুর-বিড়াল ওদের অভ্যাসমতো সবসময় বাড়িঘরের যে কোনও জায়গায় ঘোরাফেরা করে। তাই বর্ষার সময় আপনাকে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
এদের প্রবেশের জন্য যদি আলাদা দরজা থাকে, তাহলে সেটিতে তালা লাগিয়ে রাখুন। এতে করে তাদের অবাধ চলাফেরা নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে। তা না হলে কাদামাটি গায়ে জড়িয়ে ঘরে জীবাণু নিয়ে আসতে পারে সেটি। শুধু তা-ই নয়, আদরের প্রাণীটিও আক্রান্ত হতে পারে নানা জলবাহিত রোগে। পোষা প্রাণীটিকে সবসময় শুকনো রাখুন। এটি নিশ্চিত করতে মোটা তোয়ালে দিয়ে ওর পুরো শরীরটাকে মুছুন।
বারান্দা কিংবা ছাদ যেকোনো জায়গায়ই পোষা প্রাণীটি চলে যেতে পারে। তাই এ দুই জায়গার দরজা বর্ষার সময় বন্ধ রাখুন। এছাড়া জানালাগুলোও বন্ধ রাখুন। ঘরে প্রবেশের সময় দরজার কাছে পাপোশ রাখুন। এতে বাইরে থেকে বাড়তি জল ও ময়লা ঘরে ঢুকবে না। গায়ে যেন পোকা বা ইনফেকশন না হয় তাই বর্ষার শুরুতেই পোষ্যকে প্রয়োজনীয় ভ্যাকসিন দিতে হবে। যে সব পোষ্যরা ঘরের বাইরে থাকে তারা বৃষ্টিতে ভিজে যায় খুব সহজে। বৃষ্টির পানিতে লোমে আটকে থাকে।
যা আপনার পোষা প্রাণীটির গায়ে ব্যাকটেরিয়ার জন্ম দিয়ে ইনফেকশন ছাড়াতে পারে। যা থেকে তার হতে পারে সর্দি-কাশিসহ নিউমোনিয়া। তাই পোষ্যটি যেন বৃষ্টিতে ভিজে না যায় তা খেয়াল রাখুন৷ বৃষ্টিতে না ভিজলেও ঘরের প্রাণীটিকে গোসল করাতে হবে নিয়মিত। যদি কোন কারণে যদি পোষ্যর ইনফেকশন দেখা দেয় তাহলে তাকে যে সব খাবার খাওয়াতে পারেন তা হল- দই৷ দইয়ে থাকা প্রোবায়োটিক উপাদান পোষ্যের পেট ঠাণ্ডা রেখে ইনফেকশন প্রতিকার করবে।
দইয়ের পরিমাণ নিয়ে ডাক্তারের সঙ্গে আলোচনা করুন৷ তুলতুলে পোষ্যটির গায়ে বেশ চুলকানি হয়েছে? তাহলে তার গায়ে স্প্রে করতে পারেন অ্যাপল সিডার ভিনিগার। সমপরিমাণ অ্যাপল সিডার ভিনিগারের সঙ্গে পানি মিশিয়ে সারা শরীরে স্প্রে করে দেখুন চুলকানি কমে যাচ্ছে। চাইলে নিমপাতা ফুটিয়ে পানিও স্প্রে করতে পারেন। নিম প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক যা ত্বকের ইনফেকশন ও চুলকুনি থেকে আরাম দেবে। নারকেল তেলের মধ্যে থাকা ফ্যাট পোষ্যের ত্বক ময়শ্চারাইজড রেখে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়। তাই পোষ্যের খাবারে মেশাতে পারেন নারকেল তেল।