রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটের নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ শনিবার বেলা ১২টার দিকে ইউনিটটির উদ্বোধন করেন তিনি। এসময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন রাশিয়ার প্রতিরক্ষা ও মহাকাশশিল্প বিষয়ক উপ-প্রধানমন্ত্রী ইউরি ইভানোভিচ বরিসভ।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক শক্তি করপোরেশনের সহয়তায় পাবনার রূপপুরে পদ্মা নদীর তীরে ১ লাখ ১৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় আড়াইশ একর জমিতে নির্মিত হচ্ছে বাংলাদেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে ব্যয়বহুল এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ২০২৪ সালে দেশ পাবে ২৪শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুত। এর মধ্যে আজকে উদ্বোধিত দ্বিতীয় ইউনিট থেকে ১২শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে বলে জানা গেছে।
এর আগে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের মূল নির্মাণ কাজ শুরু হয় গত বছর নভেম্বরে। প্রথম ইউনিট থেকে ১২শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে।
প্রকল্প পরিচালক জানিয়েছেন, রাশিয়ার আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতায় আন্তর্জাতিক মানদন্ড বজায় রেখেই পারমাণবিক বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে।
পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা বিশিষ্ট অত্যাধুনিক ভিভিইআর প্রযুক্তি ও আট মাত্রার ভূমিকম্প সহনীয় রুশ উদ্ভাবিত সর্বাধুনিক-থ্রি প্লাস জেনারেশন-পারমাণবিক দু’টি চুল্লি সংবলিত এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি কাজ শুরু করলে দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ও শিল্প খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রকল্প পরিচালক।