দু’মাসে সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরেছে পাঁচ শতাধিক নারী শ্রমিক

সৌদি আরব থেকে নারী শ্রমিকের দেশে ফেরার সংখ্যা বাড়ছে। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের তথ্য অনুযায়ী, গত দু’মাসে ১০ দিনে সৌদি আরব থেকেই দেশে ফিরেছেন, অন্তত ৫২৩ নারী শ্রমিক। গৃহশ্রমিক হিসেবে যাওয়ার পর, অনেকেই গৃহকর্তা ও পরিবারের সদস্যদের হাতে নির্যাতিত হওয়ার অভিযোগ করেছেন ফিরে আসা শ্রমিকরা। যৌন নির্যাতনের মতো ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথাও জানিয়েছেন কেউ কেউ।

ভাগ্য বদলের আশায় ২০০৪ সাল থেকে বিদেশে যেতে শুরু করেন বাংলাদেশি নারী শ্রমিকরা। ধীরে ধীরে তারা পাড়ি জমান সৌদি আরব, আরব আমিরাত, কুয়েত, ওমান, কাতার, বাহরাইন ও লেবাননসহ বিশ্বের ১৮টি দেশে। কিন্তু সম্প্রতি সৌদি আরব থেকে নারী শ্রমিকদের দেশে ফেরার সংখ্যা বাড়ছে উদ্বেগজনকহারে।

শ্রমিক অধিকার নিয়ে কাজ করা সংস্থার কর্মীরা বলছেন, নির্যাতনের শিকার হয়ে দেশে ফিরছেন এসব নারী। কথা হয়, সম্প্রতি সৌদি থেকে দেশে ফেরা নারী শ্রমিক শ্রাবনী গাইনের সঙ্গে। শ্রাবনীর মতো কেউ কেউ দেশে ফিরলেও, এখনো সৌদি আরবে নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন অন্য নারী শ্রমিকরা। এমন আর্তি শুনে, দেশে দুশ্চিন্তায় আছেন তাদের স্বজনরাও। এ অবস্থায়, নারী শ্রমিকদের দেশে ফেরাতে রিক্রুটিং এজেন্সি মালিকদের সাথে বিবাদে জড়াচ্ছেন স্বজনরা।

তবে জনশক্তি রপ্তানীকারক প্রতিষ্ঠানদের সংগঠন- বায়রার যুক্তি, ভাষাগত সমস্যা এবং অতিরিক্ত কাজের চাপসহ নানা কারণে নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে। অভিবাসন নিয়ে কাজ করা বেসরকারি সংস্থা রামরু’র চেয়ারপার্সনের আশংকা, একটি গোষ্ঠি এই সমস্যা ভিন্নভাবে উপস্থাপন করে– দেশের শ্রমবাজার নষ্ট করে দিতে পারে।

তাই সরকারিভাবে এখনই উদ্যোগ না নিলে– শ্রমিক রপ্তানীর বাজারও ধীরে ধীরে হাতছাড়া হওয়ার আশংকা এই অভিবাসন বিশ্লেষকের।