সীমান্তসংলগ্ন এলাকায় গোপনে মাইন বা ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) বসানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি)।
আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও বিজিপির এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বিজিবির অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মজিবুর রহমান বলেন, ‘মিয়ানমার সিকিউরিটি ফোর্স কখনই সীমান্ত এলাকায় ল্যান্ড মাইন ও আইইডির ব্যবহার করে না বলে জানিয়েছেন মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মায়ো থান। তারপরও কোথাও এ ধরনের জিনিস দেখা গেলে তাৎক্ষণিক উভয় পক্ষ যোগাযোগ করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
গত ৯ থেকে ১২ জুলাই ঢাকায় দুই দেশের মধ্যে এ সীমান্ত সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মায়ো থানের নেতৃত্বে ১১ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল এবং বিজিবির অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আনিছুর রহমানের নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করেন।
যৌথ সম্মেলনে মিয়ানমারের পক্ষ থেকে বলা হয়, দুদেশের সম্পর্ক উন্নয়নে কোনো চ্যালেঞ্জ নেই।
এ সংক্রান্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘সীমান্তে আন্তর্জাতিক রীতিনীতির বিষয় উল্লেখপূর্বক সম্প্রতি মিয়ানমারের নাগরিকদের সীমান্ত অতিক্রমসহ সীমান্তে গুলিবর্ষণের ঘটনায় বিজিবির পক্ষ থেকে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। একই সঙ্গে সীমান্তের শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় এ ধরনের কর্মকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি বন্ধে মিয়ানমার পক্ষের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে মিয়ানমারের পক্ষ হতে জানানো হয় যে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা বন্ধে এরই মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’