অবশেষে কনিষ্ঠ পুত্রের কাছে ইজ্জত রক্ষা হল শাওনের!

মেহের আফরোজ শাওন দুই সন্তান নিষাদ ও নিনিতকে আগলে রেখেছেন। প্রিয় লেখক আজ বেঁচে না থাকলেও তার স্মৃতি বয়ে দুই পুত্রকে স্নেহ দিয়ে বড় করছেন শাওন। তিনি চিত্রনির্মাতা হিসেবেও নাম লিখিয়েছেন।ইমপ্রেস টেলিফিল্মের প্রযোজনায় ২০১৬ সালে শাওন নির্মাণ করেন ‘কৃষ্ণপক্ষ’ সিনেমা। এই ছবিতে একটি গানে কণ্ঠ দিয়ে তিনি ২০১৬ সালের ‘শ্রেষ্ঠ গায়িকা’ হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার গ্রহণ করেছেন।

সদ্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্ত হওয়ার সময়ের অনুভূতি ও পুরস্কার গ্রহণের সময় দুই পুত্রকে জড়িয়ে নিজের ফেসবুকে আজ (বৃহস্পতিবার) একটি পোস্ট দিয়েছেন হুমায়ূন পত্নী শাওন। শাওনের ওই পোস্টটি পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো:

“নিনিত হুমায়ূন সাহেব ইদানীং আমাকে খুবই তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করেন। তাকে (তেনাকে) পড়াতে গেলে বলেন, ‘‘মা মিস যেভাবে শেখায়, তুমি সেভাবে পারবা না।’’ (উনার হয়তো ধারণা তার মাতা ইহজীবনে স্কুলমুখী হয় নাই)। নিনিত সাহেব পিয়ানো শেখেন। বাসায় অনুশীলনের সময় একখান কথা বললেই বলেন, ‘‘মা স্যার বলেছে ইরাকম করে বাজাতে।’’

ঘ্যাংগা বাবাজির স্কুল প্রোগ্রামে তিনি একখান দলীয় নৃত্যে অংশগ্রহণ করিলেন। আমি দেখলাম এই সুযোগ। তেনাকে বাসায় অনুশীলন করিয়ে ভাজা ভাজা করে ফেলব। উনার স্কুলের নাচের টিচার আমার নৃত্যগুরু শুক্লা সরকার। নিনিতের ‘শুক্লা মিস’। যে নাচখানা দলের সাথে পুত্র পরিবেশন করবেন, সেই একই গানের সাথে নৃত্য পরিবেশন করিয়া শিশুকালে আমি পুরষ্কার পেয়েছিলাম।

বাবাজিকে নৃত্য অনুশীলন করাবার চেষ্টা করিতে গিয়া এই কথা বলা হইলে তিনি পাত্তাই দিলেন না। অবশেষে কনিষ্ঠ পুত্রের কাছে ইজ্জত রক্ষা হইলো। ২০১৬ সালে সংগীতে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার আনতে গেলাম তাহাদের দুজনকে নিয়ে।

নিনিত: মা আমরা কি বাবার পুরষ্কার নিতে এসেছি?

নিষাদ: উফফফ নিনিত- আমরা মা’র পুরষ্কার নিতে আসছি। দেখো না বইয়ে মা’র ছবির নিচে লেখা ‘শ্রেষ্ঠ সংগীত শিল্পী- মেহের আফরোজ শাওন’!

নিনিত: (অবাক দৃষ্টিতে আমার দিকে চাইলেন) মা, যাক তুমিও তাইলে বাবার মত অ্যাওয়ার্ড পাইলা!”