প্রিয় মানুষদের চমকে দেওয়ার সুযোগ মেলে সেই মানুষটির জীবনের বিশেষ কোনো দিনে। আজ জীবনের তেমনই একটি দিন পার করছেন চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা। আজ (১১ জুলাই) পূর্ণিমার জন্মদিন। এই দিনটিতে তাকে ভালোবাসা ও শুভেচ্ছায় ভাসাচ্ছেন তার কাছের মানুষেরা। তাকে চমকে দিয়েছেন ঢাকাই সিনেমার দুই জনপ্রিয় নায়ক ফেরদৌস ও শাকিব খান।
মধ্যরাত থেকেই ভক্তদের শুভেচ্ছায় ভাসছেন পূর্ণিমা। ভক্তদের ভালোবাসার শুভ্রতা নিয়ে আজকের দিনটা নিজের মতো করেই কাটাচ্ছেন তিনি। তার ভিড়ে ফেরদৌস ও শাকিবের শুভেচ্ছা বার্তা পাঠানোর কৌশলটি ছিল অন্যরকম। তাদের পাগলামিতে জনপ্রিয় এই নায়িকা কেঁদেছেন আবার হেসেছেনও। পূর্ণিমাকে কাঁদিয়েছেন ফেরদৌস আর হাসিয়েছেন শাকিব খান। চ্যানেল আইয়ের ‘তারকাকথন’ অনুষ্ঠানে ঘটেছে এ ঘটনা।
জন্মদিন উপলক্ষে আজ বুধবার দুপুরে চ্যানেল আইয়ের ‘তারকাকথন’ অনুষ্ঠানে অতিথি হয়ে আসেন পূর্ণিমা। অনুষ্ঠানে ফোন করেন ফেরদৌস। তিনি পূর্ণিমাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ‘হ্যাপি বার্থডে, হ্যাপি বার্থডে। আমি কিছু সুন্দর কথা লিখে রেখেছি। মধুপূর্ণিমার রাতে যেমন সবকিছু ভালো লাগে, তেমনি পূর্ণিমার সবকিছুই আমাদের সবার ভালো লাগে।’
শুভেচ্ছা জানিয়ে ফেরদৌস আরও বলেন, ‘অনেক কথা হলেও এখন পর্যন্ত সামনাসামনি পূর্ণিমাকে একটা কথা বলা হয়নি। আমরা যে নারীশক্তির কথা বলি, পূর্ণিমা তার উদাহরণ। অনেক দিন ধরে সে নিজের সঙ্গে যুদ্ধ করে আজকের জায়গা অটুট রেখেছে। আমাদের সবার পূর্ণিমার কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। অনেক অনেক ভালো থেকো। অনেক অনেক ভালোবাসা।’
অনেক সিনেমায় জুটি হয়েছেন ফেরদৌস পূর্ণিমা। তাদের মধ্যে ভালো বন্ধুত্ব আছে সে খবরও সবার জানা। বন্ধু ফেরদৌসের এমন শুভেচ্ছা পেয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে যান পূর্ণিমা। চোখে পানি চলে আসে তার।
ফেরদৌসের পর ফোনের মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন শাকিব খান। ‘হ্যাপি বার্থডে পূর্ণিমা’ বলতেই কণ্ঠটা চিনতে পারেন পূর্ণিমা। কথার মাধ্যমেই মজা করেন তারা। হাসি ফুটে পূর্ণিমার ঠোঁটে। শাকিব খানের ফোনকলের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে পূর্ণিমা বলেন, ‘এটা আসলেই অন্য ধরনের সারপ্রাইজ হয়ে গেল।’ পূর্ণিমা শাকিবের কাছে জানতে চান, ‘শাকিব, কোথায় তুমি? ঢাকায়, নাকি কলকাতায়?’ শাকিবের উত্তর, ‘আমি ঢাকাতেই আছি। তোমার বার্থডের জন্যই এসেছি।’
এরপর মজা করে পূর্ণিমা বলেন, ‘এবার আমার জন্মদিনের পার্টিটা তুমি (শাকিব) দাও।’ স্বভাবসুলভ হাসি দিয়ে শাকিবও বলেন, ‘তুমি চাইলে অবশ্যই দেব।’ শাকিব আরও বলেন, ‘তোমার জীবন পূর্ণিমার আলোর মতোই আলোকিত হোক। অনেক ভালোবাসা। অনেক দোয়া।’