দীর্ঘ আঠারো দিন আটকে থাকার পর থাইল্যান্ডের চিয়াং রাইপ্রদেশের রহস্যময় গুহা থেকে উদ্ধার হয়েছে কিশোর ফুটবলার ও তাদের কোচকে। ডাক্তাররা বলছেন, উদ্ধারের পর তারা সুস্থ রয়েছেন। এছাড়া তারা মানসিকভাবেও চাঙা রয়েছে। তবে বিবিসি বাংলা তাদের এক প্রতিবেদনে দাবি করছে, দীর্ঘ ১০ দিন গুহায় আটকে থাকলে চোখ, ফুসফুস, পাচনতন্ত্র ও ত্বকের ক্ষতি হতে পারে।
কিশোরদের বিষয়ে মনোবিজ্ঞানীরা বলেছেন, তারা আর কখনও হয়তো স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবে না। ক্ষণে ক্ষণে মনে পড়বে গুহায় আটকা পড়ার ভয়ঙ্কর স্মৃতি। কখনও সাঁতার কাটতে গেলে কিংবা অন্ধকার বা আবদ্ধ কোনো স্থানে গেলেই গুহার স্মৃতি মনে করে ভয়ে কুঁকড়ে যেতে পারে তারা। তারা বলছেন, উদ্ধার হওয়া পর্যন্ত যে ধরনের ধকল গেছে দলটির ওপর দিয়ে তাতে দীর্ঘমেয়াদে মানসিক ও শারীরিকভাবে ভুগতে পারে তারা।
মনোচিকিৎসক ড. আন্ড্রিয়া ডানেসে বলেছেন, উদ্ধারের পর কয়েক মাস ধরে পিটিএসডিতে ভুগতে পারে দলের বেশির ভাগ কিশোরই। এ পিটিএসডি এড়াতে হলে সে ক্ষেত্রে পুরো ঘটনাকে তাদের সামনে ‘নিছক একটা অনাকাঙিক্ষত দুর্ঘটনা’ হিসাবে তুলে ধরতে হবে। তারা যে মৃত্যুর দুয়ার থেকে বেঁচে ফিরেছে সেটা কখনোই তাদের সঙ্গে আলোচনা করা যাবে না।