থাইল্যান্ডের উত্তরাঞ্চলে গত ২৩ জুন কোচের সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে দুর্গম এক গুহায় আটকা পড়েছিল ১২ ক্ষুদে ফুটবলার। নয় দিন পর এক সপ্তাহ আগে এক ব্রিটিশ উদ্ধারকারী ডুবুরি গুহার প্রবেশমুখ থেকে চার কিলোমিটার ভেতরে তাদের সন্ধান পায়।
মাত্র ১১ থেকে ১৭ বছর বয়সী ওই কিশোররা স্থানীয় ফুটবল দল ‘ওয়াইল্ড বোরস’র সদস্য বলে জানা গেছে। তাদের কোচের বয়স ২৫ বছর। নিখোঁজের নয় দিন পর তাদেরকে গুহার গভীর অন্ধকারে পাওয়া যায়। এরপর তাদের উদ্ধারে শুরু হয় সর্বাত্মক তৎপরতা। তাৎক্ষণিক তাদেরকে অক্সিজেন আর খাবার সরবরাহ করা হয়।
টানা তিন দিনের অভিযানে মঙ্গলবার কোচসহ ফুটবল টিমের সবাইকে উদ্ধার করা হয়। রোববার ও সোমবার চারজন করে আটজনকে উদ্ধার করা হয়। মঙ্গলবার কোচসহ বাকি পাঁচজনকে বের করে আনা হয়। অবসান হয় রুদ্ধশ্বাস প্রতীক্ষার।
সবার কৌতূহল খোঁজ পাওয়ার নয় দিন পর্যন্ত দুর্গম ওই গুহায় কী খেঁয়ে বেচে ছিল এই ১৩ জন। অলৌকিক কিছু কি ঘটেছিল! গুহায় কোনো ধরনের প্রাণী খেয়ে কি তারা বেঁচে ছিল? বস্তুত এমন কিছুই ঘটেনি।
ক্ষুদে ফুটবলারদের একজন পিরাপাত সোমপিয়াংজাই (১৭)। যেদিন তারা গুহায় আটকে পড়ে অর্থাৎ ২৩ জুন ছিল তার জন্মদিন। তার জন্মদিন উদযাপনের জন্য সবাই যে খাবারগুলো এনেছিল, সেগুলোই তাদের এতোদিন টিকে থাকতে সাহায্য করেছে।
উদ্ধারকারীদের মতে, দলের কোচ সবচেয়ে দুর্বল অবস্থায় আছেন। কারণ তিনি বার বার খাবার খেতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। তার পরিবর্তে সেগুলো ওই কিশোরদের খেতে বলেছেন।