নির্বাচনে দাঁড়াচ্ছেন নায়ক ফারুক, জানুন কোন দল ও কোন আসনে?

সামনে আসছে নির্বাচন। এ নিয়ে এখন থেকেই সাধারন জনগনের মদ্ধে শুরু হয়েছে অনেক উত্তেজনা। এবার প্রার্থী নির্বাচনে অনেক তারকারা স্থান পেতে পারে। তার মদ্ধে আছেন চিত্রনায়ক ফারুক।
চলচ্চিত্রে যুক্ত হওয়ার আগে থেকেই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন খ্যাতিমান অভিনেতা আকবর হোসেন পাঠান ফারুক। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার’১৬ প্রদান অনুষ্ঠানে তাকে আজীবন সম্মাননা দেওয়া হয়। আওয়ামী লীগের হয়ে নির্বাচন করতে চান কিংবদন্তি এই অভিনেতা। গাজীপুর ৫ আসন, কালীগঞ্জ থেকে এমপি নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন তিনি।

এ প্রসঙ্গে ফারুক বলেন, ‘আওয়ামী লীগের রাজনীতি ছাড়া অন্য কোনো রাজনীতি আমি বুঝিনা। এবার আমি চিন্তা করেছি সত্যের জন্য, সুন্দরের জন্য ইমোশনাল পৃথিবী ছেড়ে আমাকে রাজনীতিতে আসতে হবে। জীবনে আমি অনেক কিছু পেয়েছি। বাকি দিনগুলো সেই মানুষগুলোর পাশে দাঁড়াতে চাই। শুধু চলচ্চিত্র নয়, সমাজের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কাজ করার সুযোগ থাকবে তখন। আওয়ামী লীগের হয়ে মানুষের সেবা করতে চাই। সমাজের যে কোন সমস্যায় সবার পাশে থাকতে চাই।’

গত রবিবার (৮ জুলাই) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০১৬’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে ফারুক বলেন, ‘স্বৈরশাসক এরশাদের আমলে একবার চলচ্চিত্রের ২৫ বছর পূর্তি উৎসব হয়েছিল এফডিসিতে। সেখানে আমাকে আনার জন্য প্রশাসনের লোক বাসায় গিয়েছিল। তারা আমার কাছে জানতে চায় যে, আমি নাকি সব অনুষ্ঠানে গিয়ে বঙ্গবন্ধুর নাম বলি।

কিন্তু এই অনুষ্ঠানে গিয়ে বঙ্গবন্ধুর নাম বলতে পারব না। তখন আমি বলেছিলাম যে বঙ্গবন্ধু আমাদের একটি রাষ্ট্র দিয়েছেন, বিনোদনের জন্য দিয়েছেন বিএফডিসি। আর তার গড়ে দেওয়া বাড়ির উঠানে দাঁড়িয়ে উনাকে স্মরণ করতে পারব না, সে হয় না। আমি যদি অনুষ্ঠানে যাই, তবে সেখানে আমি অবশ্যই বঙ্গবন্ধুর নাম বলব। তাকে স্মরণ করেই বক্তব্য রাখব। তারপর আমি ১৯ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন পেয়েছি; কিন্তু আমাকে কখনো পুরস্কার দেওয়া হয়নি, কারণ আমি বঙ্গবন্ধুর নাম বলি। এবার আমি অফিশিয়ালি বঙ্গবন্ধুর কথা সবার কাছে বলতে চাই।’

পরে তিনি আরো জানান, ‘আমি জীবনে কোন কাজেই কাউকে প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবিনা। আর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ যাকে নমিনেশন দেবে, তিনি নির্বাচন করবেন। এখানে অন্য কোন দল বা আওয়ামী লীগের কাউকে আমি প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবি না। আমার এলাকায় আমার গ্রহণযোগ্যতা আছে। সারা বছরই আমি তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখি।’