১০ কোটি ভিউয়ে কত পেলেন আরমান?

‘একটা সময় তোরে আমার সবই ভাবিতাম, তোরে মন পিঞ্জরে যতন করে আগলাইয়া রাখতাম’-এই কথাগুলো শোনেননি, এমন শ্রোতা খুঁজে পাওয়া কঠিন। গিটারের সঙ্গে এক তরুণ গানটি গেয়ে ইউটিউবে আপলোড করেছিলেন। এটা অনেক আগের ঘটনা। সেই গান আবার কভার করে ইউটিউবভিত্তিক অন্য একটি ব্যান্ডদল। ব্যাস, রাতারাতি গানটি জনপ্রিয়তার তুঙ্গে চলে আসে। লাখ লাখ মানুষ গানটি উপভোগ করেন।

এমন জনপ্রিয়তা দেখে সংগীত পরিচালক অংকুর মাহমুদ গানটির মূল শিল্পী আরমান আলিফকে দিয়ে অফিশিয়ালি একটি ভার্সন তৈরি করেন। ‘অপরাধী’ শিরোনামেই এটি গত ২৬ এপ্রিল ঈগল মিউজিকের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করা হয়। প্রকাশের তিন মাস যেতে না যেতেই গানটি দেখা হয়েছে ১০ কোটিরও উপরে। আর এই গানের সাথেই আলোচনার কেন্দ্রে এসেছেন তরুণ কণ্ঠশিল্পী আরমান আলিফ।

শুধু ইউটিউব থেকেই গানের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ঈগল মিউজিক আয় করেছে প্রায় কোটি টাকা। কিন্তু গানটির গায়ক আরমান আলিফ পারিশ্রমিক হিসেবে পেয়েছেন মাত্র ৫০ হাজার টাকা। দেশের অনলাইন গণমাধ্যমে এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন আরমান।

এ কণ্ঠশিল্পী বলেন, নতুন সংগীতশিল্পীরা যেভাবে শুরু করে আমার শুরুটাও ছিল সে রকম। আমি শুনেছি এই বিশাল পরিমাণ ভিউয়ের কারণে কোম্পানির আয় হবে কোটি টাকার মতো। তবে সেসব নিয়ে আমি মাথা ঘামাতে চাই না। আমি কত পেলাম এটাই বড় কথা।

তরুণ এই শিল্পী জানালেন, তাকে দুই কিস্তিতে শুধু ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। এরপর তার সাথে কেউ কোম্পানির আর কেউ যোগাযোগ করেনি। আর তিনিও চান না সে সব নিয়ে ভাবতে। বললেন, সামনে আমি নতুন গান নিয়ে আসছি। গানের নাম ‘নেশা’। এটি প্রকাশ করব আমার নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেল থেকে। এটি প্রযোজনা করবে আমার ব্যান্ড। লিখেছি আমি, সুরও করেছি আমি।

তবে এ প্রসঙ্গে ঈগল মিউজিকের কর্ণধার কচি আহমেদ বলেন, আরমান আলিফকে সম্মানী বাবদ ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। এটা এককালীন পরিশোধ করা হয়েছে। প্রতিটি শিল্পীর সঙ্গে ঈগল মিউজিকের এমনই চুক্তি থাকে। আর আমি জানি না কোত্থেকে কোন অ্যানালিটিকস এই তথ্য পেয়েছে।

আরমান বলেন, গানটি ঈগল মিউজিকে জমা দেওয়ার সময় কোনো টাকার কথা উল্লেখ ছিল না। একজন নতুন হিসেবে আমি তাদের কাছে গিয়েছিলাম। তারা গানটি প্রকাশ করবেন বলে রাজি হয়েছিলেন। গানের চুক্তির সময় আমাকে বলা হয়েছিল আমার যখন টাকার প্রয়োজন হবে তখন চাইলে সেটা আমাকে দেওয়ার চেষ্টা করবেন তারা। তাদের আশ্বাসে একরকম ভালোবেসেই গানটি দিয়েছি এখানে। পরে দুই কিস্তিতে ৫০ হাজার টাকা আমি পেয়েছি। আর কোনো টাকা পাইনি।