বর্তমান সময়ের সবচেয়ে আলোচিত একটি নাম শাহ হুমাইরা সুবা অন্য কোন কাণে নয়, একমাত্র জাতীয় দলের ক্রিকেটার নাসিরের সঙ্গে গোপন প্রেম, প্রণয় এবং স্ক্যান্ডাল ফাঁস করে দিয়ে! তবে আপনি আরো অবাক হবেন যখন জানবেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক এবং ইউটিউবে বর্তমান সময়ে পরিচিত নাম সুবার আগে একবার নয় দুইবার বিয়ে হয়েছিলো!
মাত্র কয়েকদিন আগেও এই সুবার ফেসবুকের ফলোয়ার ছিল মাত্র ৮ হাজার। সুন্দরী এই উঠতি নায়িকার ফেসবুক ফলোয়ার মাত্র কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে ৪০ হাজারের কাছাকাছি পৌঁছেছে।ক্রিকেটার নাসিরের সঙ্গে ফোনালাপ ফাঁস এবং তাকে নিয়ে ফেসবুক লাইভে এসে একেক সময় একেক কথা বলা শাহ হুমাইরা সুভাও ব্যক্তিজীবনে দুইটি বিয়ে করেছেন।
সর্বশেষ স্বামীকে মামলা দিয়ে জেলে পাঠিয়ে এবার নাসিরকে টার্গেট করেছেন তিনি। ভোরের পাতার অনুসন্ধানে জানা গেছে, সুবা গাইবান্ধা মুন্সিপাড়ার এক উচ্চবৃত্তশালী পরিবারের একমাত্র ছেলে আকাশকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করে। কিন্তু ছেলের বাবা, মা মেনে নেয়নি তবে পরবর্তীতে মেনে নেয়। এভাবেই কিছুদিন যায়।
সুবার চলাফেরা খারাপ দেখে একদিন ছেলে, বাবার ঝগড়া শুরু হয় এক পযায়ে মেয়েটার কথা শুনে ছেলে বাবাকে মারতে ছুড়ি হাতে আকাশ এগিয়ে যায়। আকাশের মা আটকাতে গেলে মায়ের পেটে ছুড়ি বসিয়ে দেয়। ২০১১ সালের এ ঘটনায় ঘটনাস্থলেই সুবার শ্বাশুড়ি মারা যান।তারপর বেশ কিছুদিন সুভার প্রথম স্বামী আকাশ জেলে থাকে।
পরে আকাশের বাবা ছেলেকে জেল থেকে ছাড়িয়ে আনেন ও এবং মেয়ের (সুবার) সাথে তালাক হয়। তবে এতে সুবা অনেক টাকা দেনমহর করেছিলো সে টাকা নিয়ে ছাড়াছাড়ি হয়।তারপর সুবাকে অনেক দিন গাইবান্ধায় দেখা যায়নি। প্রথম বিয়ের তালাকের পরই রাজধানীতে চলে আসেন সুবা। ঢাকায় এসেও একাধিক পুরুষের সঙ্গে সখ্যতাা গড়ে তোলেন তিনি।
এরপর সুবার আর জিকোর মধ্যে প্রেম ভালবাসা শুরু হয় ২০১৪ সালের শেষের দিকে। তাদের বাসা একই পাড়ায় গাইবান্ধায় মাস্টার পাড়ায়। এরপরে ২০১৫সালের মাঝামাঝিতে জিকো এবং (সুবা) পালিয়ে যায়। খোজপাওয়া যায় তারা গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর থানার এক গ্রামে লুকিয়ে ছিলো এবং তারা পরিবারকে না জানিয়েই বিয়ে করে।
তারা পালিয়ে যাওয়ার ২০/২৫দিন পড়ে গাইবান্ধায় ফিরে আসে।কিন্তু আসার পড়ে জিকো বাসায় গেলে তাদের বাবা, মা মেনে না নিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। পরে তারা বাসা ভাড়া নিয়ে কিছুদিন থাকেন। এসময় জিকো এবং সুবা দুজনেই বিভিন্ন নেশা দ্রব্য সেবন করতে শুরু করে।
এরপর হঠাৎ মেয়ে তার বাবার বাসায় যায় এবং ছেলেও তার বাসায় ফিরে যায়।তারপর নানা রকম নাটক শুরু হয়। ছেলেমেয়ে দুজন দুজনার বাসায় যাওয়া আশা শুরু করে।মাদকাসক্ত জিকোকে মাদক দ্রব্যসহ পুলিশ নিয়ে যায় ২০১৭ সালে। তখন সুবা আবারও বেপোরোয়া চলাফেরা শুরু করে।
তখন গাইবান্ধার খন্দকার মোড়ের লিখন এবং মিয়া পাড়ার রোমানের সাথে বন্ধুত্ব হয়। সুবা টাকার বিনিময়ে শারিরিক সম্পর্ক করে তাদের সাথে। কিন্তু সেই সময় নাকি লিখন ভিডিও করে এবং পরে সেই ভিডিওর কপি সুভাকে পাঠিয়ে লিখন, রোমান ব্লাকমেলিং করতে চায়।
কিন্তু তখন সুভার স্বামী জিকো জামিনে জেল থেকে বেরিয়ে আসলে সব খুলে বলে। জিকো সুভাকে অন্ধের মতো ভালবাসতো, জিকো সুভাকে নিয়ে থানায় গেলে একটা পর্নগ্রাফি মামলা হয়। সেই মামলার আসামীরা লিখন, রোমান আরো একজন এখনো জেলে। এরপরে সুবা জিকোকে এড়িয়ে চলতেশুরু করে। আর প্রচার করতে থাকে যে তাদের মাঝে ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে।
তার কিছুদিন পরেই সুবা ঢাকায় চলে আসে ।ঢাকাতেও যেয়ে একই কার্যকালাপ করে চলছে যার শিকার ক্রিকেটার নাসির।আর নাসিরকে নিয়ে ফেসবুকে লাইভ ভিডিও দেওয়ার কিছুদিন আগেই জিকোকে একটি মামলার ওয়ারেন্টে জেলে যেতে হয়েছে।এমন মেয়ে হয়েও নাসিরকে আবার ফাসাঁনোর চেস্টা করা হচ্ছে! বিচারের দায়িত্ব আপনাদের উপর ছেড়ে দিলাম।
সুত্র: ভোরের পাতা