আমাদের দেশে কতই রকমের ঘটনাই প্রতিদিন ঘটে যা আমাদের সমাজ মেনে নেয় না তবুও আমরা আবেগের বসে করে ফেলি। পরে কি হবে ভাবতেই চাইনা । এটাই আমাদের বড় সমস্যা । কক্সবাজারে ইসরাত মুনমুন আয়ান (১৯), স্বামী-মাহবুবুল আলম মেহেদী, পিতা- মৃত আলী হোসেন, স্বামীর সাং- বার্মিজ স্কুল রোড, টেকপাড়া, কক্সবাজার পৌরসভা, জেলা- কক্সবাজার। পিতার সাং- মনহাজী পাড়া, মাতারবাড়ী, থানা-মহেশখালী,জেলা-কক্সবাজার।
নামের মেয়েটি গত ২৮ জুন ২০১৬ ইং তারিখ দিবাগত রাতে স্বামীর বাড়ী থেকে স্বামীর অজান্তে ১২ ভরি স্বর্ণ যার বাজার মূল্য ৪,৮০,০০০/- (চার লক্ষ আশি হাজার টাকা),স্বামীর ব্যবসার নগদ ৫,০০,০০০/- (পাঁচ লক্ষ) টাকা এবং মূল্যবান কাপড় চোপড় নিয়ে পালিয়ে যায়। খবরটি জানাজানি হওয়ার পর ইসরাত মুনমুন আয়ানকে কোথাও না পেয়ে ঐ তারিখে স্বামী মাহবুবুল আলম মেহেদী বাদী হয়ে কক্সবাজার মডেল থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেন। অভিযোগ পত্রে দুইজনকে বিবাদী করা হয়।
তারা হলেন –
১। ইসরাত মুনমুন আয়ান (১৯), স্বামী-মাহবুবুল আলম মেহেদী, পিতা- মৃত আলী হোসেন, স্বামীর সাং- বার্মিজ স্কুল রোড, টেকপাড়া, কক্সবাজার পৌরসভা, জেলা- কক্সবাজার। পিতার সাং- মনহাজী পাড়া, মাতারবাড়ী, থানা- মহেশখালী, জেলা- কক্সবাজার।
২। জিয়াউল ইসলাম জিকু, পিতা- নুরুল আলম (লেড়– মেম্বার), সাং- মাতারবাড়ী, থানা- মহেশখালী, জেলা- কক্সবাজার।
জিয়াউল ইসলাম জিকু’র বিষয়ে বাদীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন- গত ২০/০৩/২০১৭ ইং তারিখ ইসলামের শরীয়তের বিধান মতে ইসরাত মুনমুন আয়ান এর সাথে আমি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হই। বিবাহের দিন থেকে এ পর্যন্ত আমাদের মাঝে কোনো ধরনের বিরোধ হয়নি। তবে বিবাহের পর থেকে জিয়াউল ইসলাম জিকু’র সাথে ইসরাত মুনমুন আয়ানের মোবাইলে গোপনীয় কধাবার্তা চলতো।
এ বিষয়টি যখন আমি জানতে পারি তখন আমার স্ত্রী আমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে আর কোনোদিন জিকু’র সাথে কথাবার্তা বলবেন না বলে ওয়াদা করেন। কিন্তু প্রায় সময় জিয়াউল ইসলাম জিকু কক্সবাজার এসে তার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে এবং আমার স্ত্রীকে বিভিন্ন ধরনের প্রলোভন দেখিয়ে আমার বাড়ি থেকে তাকে তুলে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে জিয়াউল ইসলাম জিকু’র সহপাঠীদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলে- বিবাহের পূর্বে ইসরাত মুনমুন আয়ানের সাথে জিয়াউল ইসলাম জিকুর ঘণিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। তারা মাতারবাড়ী হাই স্কুলে একই সাথে অধ্যয়ন করত। তাদের সম্পর্কের কথা আয়ানের অভিভাবকেরা জানতে পারার পর আয়ানকে দ্রুত বিবাহ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।আয়ানকে বিবাহ দেওয়ার পর থেকে বর্তমান পর্যন্ত জিকু প্রায় সময় আয়ানকে বিরক্ত করত এবং বিভিন্ন ধরনের প্রলোভন দেখাতো।
অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্তের জন্য কক্সবাজার মডেল থানার এস আই আবুল কালাম ও এসআই সঞ্জিত কুমারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এবিষয়ে তাঁদের কাছে জানতে চাইলে তাঁরা বলেন, মাহবুবুল আলম মেহেদী বাদী হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত চলছে এবং বিবাদীদেরকে ধরার জন্য বিভিন্ন থানায় তথ্য দেয়া হয়েছে। শীঘ্রই এর সমাধান পাওয়া যাবে বলেও জানান।
এবিষয়ে বাদীর পিতা মোঃ জাহাঙ্গীর আলম ও মাতা আয়েশা বেগমের কাছে জানতে চাইলে তাঁরা বলেন- ইসরাত মুনমুন আয়ান আমাদের নিজের মেয়ের মতো। কেন সে টাকা-পয়সা, স্বর্ণ ও কাপড়-চোপড় নিয়ে পালিয়ে গেছে তা মনকে বুঝাতে পারছি না।এদিকে, বিবাদীদের বিষয়ে কেউ সন্ধান দিতে পারলে বাদী পক্ষ তাকে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার দিবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন।