আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানে ডায়াগোনসিসের মাধ্যমে রোগের কারণ নির্ণয় অত্যন্ত জরুরী বিষয়। সকল আধুনিক সরঞ্জাম নিয়ে পপুলার ডায়গনষ্টিক সেন্টারের পথচলা। ‘ধানমন্ডি-২ নম্বর রোডের পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গত ২ বছর আগে (অর্থাৎ ২০১৫ সালে) মেয়াদোত্তীর্ণ রি-এজেন্ট (ডায়াগনস্টিক টেস্টে রোগ নির্ণয়ের জন্য ব্যবহৃত রাসায়নিক উপাদান) জব্দ করা হয়েছে। এগুলো ব্যবহার করায় টেস্টের যে রিপোর্ট এসেছে সেটা ভুল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।’
এর আগে ২০১৭ সালে পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অনুমদনহিন ওষুধ ব্যবহার করার কারণে ৯ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছিল।সোমবার (২ জুলাই) দুপুর ১টার দিকে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমের নেতৃত্বে শুরু হয় এই অভিযান। অভিযানটি চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
অভিযান শেষে সারওয়ার আলম বলেন, আমাদের কাছে ময়মনসিংহ থেকে একটা অভিযোগ ছিল যে, সেখানকার পপুলারে ঢাকার মেয়াদোত্তীর্ণ রি-এজেন্ট পাঠানো হয়। সেই অভিযোগ ধরে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ৭ তলার ল্যাব এবং ১০ তলার স্টোর রুমে আমরা অভিযান চালাই এবং বিপুল পরিমাণ মেয়াদোত্তীর্ণ রি-এজেন্ট পাই। এই রি-এজেন্টগুলো দিয়ে যদি কোন রোগীর পরীক্ষা করানো হয় তাহলে তা ভুল রিপোর্ট দিতেই পারে। এর ফলে সাধারণ জনগণ প্রতারিত হয়। তারা ভুল চিকিৎসা নিতে পারে।
এ ধরনের অভিযানের পরও বড় বড় হাসপাতালগুলো এমন অপকর্ম করছে। কেন তাদের ঊর্ধ্বতনদের আইনের আওতায় আনা যাচ্ছে না? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সারওয়ার আলম বলেন, ২০১৭ সালে ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালিয়ে ৯ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছিল। এবার অভিযানে এসে আমরা এমডি কিংবা সিইও কাউকে না পেয়ে সিলগালার কথা ভেবেছিলাম। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটিকে সিলগালা করলে এখানে চিকিৎসাধীন ও টেস্ট করিয়েছেন এমন অনেক রোগী ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। তবে পরবর্তীতে এমন অভিযোগ পেলে তাদের আরও বড় শাস্তি দেয়া হবে।
সরেজমিনে দেখা যায়, তাদের ব্যবহৃত সিমটেক্স গ্রুপের স্যাম্পল প্লেটের রি-এজেন্টটি ২০১৭ সালের জুন মাসে, সিমেন্স গ্রুপের স্ট্যান্ডার্ড হিউম্যান প্লাজমার মেয়াদ-২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে এবং ক্যাপিলারিস ইমিউনোটাইপিংয়ের মেয়াদ-২০১৭ সালের জুনে শেষ হয়।অভিযানে র্যাব-২ এর অর্ধশতাধিক সদস্য, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও ওষুধ প্রশাসনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।