কেউ সোশ্যাল মিডিয়া আবার কেউ শুটিং ফ্লোরে ব্যাস্ত। আবার কেউ রাষ্ট্র পরিচালনায়, কেউ বা ব্যবসায়। সাফল্যের শিখরে উঠা এসব ব্যক্তিরা কিন্তু ঘুমের চেয়ে কাজকেই বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। এক ঝলকে দেখে নেয়া যাক এসব সেলিব্রেটিরা ঘুমের জন্য কে কতটা সময় ব্যয় করেন।
জ্যাক ডরসি: তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারের প্রতিষ্ঠাতা। দিনের বেশির ভাগ সময় সোশ্যাল মিডিয়াকেই দেন। দৈনিক ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা সময় টুইটারে খুট খুট করেই কাটে তার। সঙ্গে মিটিং তো আছেই। ঘুমনোর জন্য তার হাতে বরাদ্দ আছে মাত্র ৫ ঘণ্টা।
শাহরুখ খান: শুটিং, ফিটনেস ওয়ার্ক আউট করে হাতে সময় বাঁচলে মিডিয়ার সামনে দেন নানা পোজ। তাতেও যদি সময় বাঁচে তাহলে ছবির প্রমোশন বা ছোটখাটো পার্টি তো লেগেই থাকে। আইপিএল-এর সময় তো কথাই নেই। নানা দিক সামলে বলিউডের এই ব্যস্ত তারকা নাকি ঘুমের পেছনে দেন মাত্র ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা।
মার্ক জাকারবার্গ: সারাদিন কাজ নিয়েই কেটে যায় ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতার। সম্প্রতি, তথ্য ফাঁস নিয়ে ফেসবুকের দিকে অভিযোগের আঙুল উঠার পর নানা বিতর্কও তাকে সামাল দিতে হচ্ছে দক্ষতার সঙ্গে। তবে কাজ ছাড়া নাকি অন্য বিষয়ে তেমন সময় অপচয় করেন না জ়াকারবার্গ। দিনে ৫ ঘণ্টা ঘুমিয়েই নিজেকে ফিট রাখেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
নরেন্দ্র মোদী: ফিটনেস নিয়ে তার বর্তমান কার্যক্রম এখন বিশ্বে সমাদৃত। সঠিক সময়ে ঘুম এবং নিয়মিত যোগই রীতিমতো তরতাজা রেখেছে ৬৭ বছর বয়সী এই প্রধানমন্ত্রীকে। তবে তার ঘুমের সময়ও কিন্তু পরিমিত। তিনি দৈনিক ৪ থেকে ৫ ঘণ্টার বেশি ঘুমান না।
মারিসা মায়ের: ইয়াহুর সিইও মারিসা মায়ের সপ্তাহে ১৩০ ঘণ্টারও বেশি সময় কাজ করেন। অতিরিক্ত ঘুম নাকি তার একেবারেই অপছন্দ। কাজটাই তার কাছে সাফল্যের মূল চাবিকাঠি। তিনি দৈনিক ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা সময় বেশি ঘুমান না।
বারাক ওবামা: প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট টাইম চার্ট মেনেই তিনি চলেন। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে থাকার সময়েও এই নির্ধারিত সময়সীমা মেনে চলতেন তিনি। তাতে ঘুমের জন্য বরাদ্দ ছিল খুবই কম সময়। দিনে ৬ ঘণ্টারও কম সময় নাকি ঘুমাতেন বারাক ওবামা।
বিল ক্লিন্টন: তিনি আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট। কম সময় ঘুমের জন্য নাকি বেশ নাম ছিল সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্টের। দিনে ৫ ঘণ্টার বেশি একেবারেই ঘুমোতে পছন্দ করতেন না তিনি।