ডিভোর্স ঠেকাতে প্রধানমন্ত্রীর দারস্থ হলেন শ্রাবন্তী!!

ডিভোর্স ঠেকাতে- নিজেদের মধ্যে টানাপোড়েন চলছে, সংসারটাও ভেঙ্গে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। চলছে কাঁদা ছোড়াছুড়ি। এরমধ্যে নিজের অবস্থান পরিস্কার করেছেন অভিনেত্রী ইপশিতা শবনম শ্রাবন্তী। ডিভোর্স ঠেকাতে দারস্থ হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।

মিডিয়ার উদ্দেশে শ্রাবন্তী বলেছেন, ‘আপনারা কেউ ভুল নিউজ করবেন না। আপনারা দয়া করে আমার সংসারটা রক্ষা করতে আমাকে সহযোগিতা করুন।’

শ্রাবন্তীকে চলতি বছরের ৭ মে তালাকের নোটিশ পাঠান তার স্বামী জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক খোরশেদ আলম। এরপর বহু ঘটনা ঘটে গেছে। সবশেষ খবর হলো, ‘সংসার রক্ষা’য় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহযোগিতা চেয়েছেন এ অভিনেত্রী।

সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে ১ জুলাই, রবিবার রাতে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে শ্রাবন্তী এই সহযোগিতা চান।

শ্রাবন্তী লিখেন, ‘সত্যি-মিথ্যা অনেক কথা আসবে। কিন্তু একজন মেয়ে, মা আর একজন মানুষ হিসেবে আমার একটাই চাওয়া, আমার বাচ্চাদের সাথে কোনো অন্যায় না করা হয়। আমি চাই না, আমার বাচ্চারা ব্রোকেন ফ্যামিলিতে বড় হোক। ভুল আমাদের দুজনরই আছে। তাই বলে ডিভোর্স দিয়ে আলম বাচ্চাদের সাথে, আমার সাথে এমন অন্যায় করতে পারে না।’

এর আগে শনিবার শ্রাবন্তী ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে অভিযোগ করে বলেন, ‘আমাদের স্বামী-স্ত্রীর মাঝে আরেকটি মেয়ে চলে এসেছেন। সেই মেয়েটি মালয়েশিয়ায় থাকেন। আগে এনটিভিতে চাকরি করতেন। তিনিও বিবাহিত। এখন আলমের সঙ্গে প্রেম করছেন।’

এ বিষয়ের প্রসঙ্গ টেনে রবিবারের স্ট্যাটাসে শ্রাবন্তী লিখেন, ‘আমাকে হুমকি দেওয়া হয়েছে, আমার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করবে। আমার স্বামীর সঙ্গে কথা বলবে, আমার সংসার ভাঙবে আর আমি তা মেনে নিয়ে চুপ করে থাকব, তাই না?

খোরশেদ আমার সব জেনে শুনে বিয়ে করছিলেন। আর বিয়ের সাত বছর পর তা নিয়ে আমাকে দোষ দিয়ে যাবে, তা তো মানা যায় না। সবকিছুর আগে আমি একজন মা, আর খোরশেদ একজন বাবা। এটা আমাদের ভুলে যাওয়া উচিত না। বাচ্চাদের কোনো দোষ নেই।’

শ্রাবন্তী জানান, তার বড় মেয়ে রাবিয়াহর বয়স ৭, আর ছোট মেয়ে আরিশা আলমের সাড়ে ৩ বছর। তারা ইতোমধ্যে অসুস্থ হয়ে গেছে। তিনি বলেন, ‘ওরা মা-বাবা দুজনকেই যেন কাছে পায়।

একজন শিক্ষক হয়ে আলম এমন অন্যায় যেন আমাদের কারো সঙ্গে না করে। সেই মহিলা যেন নিজের সংসার মনোযোগ দিয়ে করুক। আমাকে উল্টা-পাল্টা হুমকি না দিক। আলম সৎভাবে সবকিছু (থেকে) সরে আসুক, নিজের পরিবারকে রক্ষা করুক। একজন শিক্ষকের কাছে আমি এটাই চাই।’

স্ট্যাটাসের শেষের দিকে এসে শ্রাবন্তী লিখেন, ‘আমি জোর গলায় বলতে চাই, আমার এবং আমাদের বাচ্চাদের সঙ্গে অন্যায় করা হচ্ছে। আমি আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা চাই। কারণ তিনিও একজন নারী, একজন মা। তিনিও চাইবেন না একজন বাবা তার বাচ্চাদের সঙ্গে অন্যায় আচরণ করুক।’

মে মাসে বগুড়া সদরের কালীতলার শিববাড়ি সড়কে শ্রাবন্তীর বাবার বাসার ঠিকানায় তালাকের নোটিশ পাঠান খোরশেদ আলম। আর ২৫ জুন দেশে ফিরেন শ্রাবন্তী। ২৬ জুন রাজধানীর খিলগাঁও থানায় শ্রাবন্তী তার স্বামীর বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন ও যৌতুকের মামলা করেন।

শ্রাবন্তী এখন আছেন বগুড়ায়। ৪ জুলাই মেয়েদের সঙ্গে নিয়ে তিনি ঢাকায় ফিরবেন।

২০১০ সালের ২৯ অক্টোবর বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন শ্রাবন্তী ও খোরশেদ আলম। একই বছরে নূরুল আলম আতিকের ‘ডালিম কুমার’ নাটকে অভিনয় করেছিলেন এই অভিনেত্রী। এরপর থেকে বাংলাদেশি কোনো নাটক কিংবা সিনেমায় দেখা যায়নি তাকে।