বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার ভক্ত সংখ্যা কম নয়। আর মেসির ভক্ত আর্জেন্টিনার সাপোর্টারদের বাইরেও রয়েছে। অন্যদিকে পর্তুগালের সাপোর্টার কম থাকলেও ক্লাব ফুটবল কাঁপানো খেলোয়ার ক্রিশ্চিয়ান রোনালদোর ভক্ত এদেশে অনেক। দুই জনপ্রিয় বিশ্বতারকা বিদায় নিলেন একই সময়ে। সাধারণ ভক্তদের মতো দুই ফুটবল তারকার বিশ্বকাপ বিদায়ে মন খারাপ দেশের শোবিজ তারকাদেরও। তাদের অনুভুতির কথাগুলো নিয়ে এই আয়োজন—
আলিফ আলাউদ্দিন
বলা যায় আর্জেন্টিনার জন্যই আমি বিশ্বকাপ খেলা দেখি। যার অন্যতম কারণ মেসি। একজন ভক্ত হিসেবে তার হাতে কাপ দেখার স্বপ্ন আমারো। পরবর্তী বিশ্বকাপে হয়তো এই স্বপ্ন হয়তো পূরণ হবে।
চঞ্চল চৌধুরী
খেলার এমন পর্যায় এসে হেরে যাওয়াটা দুঃখজনক। খুব বেশি ব্যবধানে হারলে হয়তো এতটা খারাপ লাগতো না। একদিকে মেসি অন্যদিকে রোনালদোর জন্য খারাপ লাগছে। কারণ ক্লাব ফুটবলে তাক লাগানো তারকাদের এমন মাথা নিচু করে মাঠ ছাড়া দেখাটা খারা লেগেছে।
আফরান নিশো
যদিও আমি ব্রাজিল সাপোর্টায় তবে আমি চেয়েছি মেসিবাহিনি ভালো খেলুক। ডিফেন্স দূর্বলের কারণে এই হেরে যাওয়া দেখতে হলো। খেলায় হার জিত্ থাকবেই। জিতলে ভালো লাগে, হেরে গেলে খারাপ লাগে। আমার প্রিয় দলও হেরে যেতে পারে। পর্তুগালের চলে যাওয়াটাও দুঃখজনক। কারণ রোনালদো পুরো দলটা একাই টেনে এ পর্যন্ত এসেছে। সেখান থেকে আমারও তাদের জয় দেখলে ভালো লাগতো।
শারমিন সুলতানা সুমি
লন্ডনে একটা রেস্টুরেন্টে বসে খেলা দেখেছি। যার নাম ‘হারে’। খেলা শেষে বিষয়টি আবিস্কার করি। যা সত্যি কষ্টের। আর্জেন্টিনার জন্য প্রেমটা শেষ পর্যন্ত। কমবে না কোনোদিন।
ইমন
খারাপ লাগার দুটি কারণ মেসি ও রোনালদো। এই দুজনের বড় ভক্ত আমি। দুজনের একইসাথে বিদায় তো খারাপ লাগার বিষয়। পর্তুগালের সম্ভাবনার চেয়ে আর্জেন্টিনার সম্ভাবনা বেশি থাকলেও বাজে ডিফেন্সের কারণে এই ফলাফল তাদের।
সজল
আমি আর্জেন্টিনার সাপোর্টার নই। তবে বিশ্বকাপে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার খেলা দেখতে চেয়েছি। সেটি হলো না। খেলায় হারজিত্ থাকবেই। তবে ফুটবল উন্মাদোনা আমাদের এতটাই ঘিরে রাখে যে হেরে যাওয়ায় ভক্তদের চোখের পানি পর্যন্ত চলে আসে।
নওশবা
আমি নির্দিষ্ট কোনো দল সাপোর্ট করে খেলা দেখি না। তবে কয়েকজন খেলোয়ারের খেলা দেখার জন্য বিশ্বকাপ দেখি। তাদের মধ্যে রোনালদো ও মেসি।