প্রশ্নঃ স্তনের ফিগার সৌন্দর্য ধরে রাখা নারীদের সহবাসের নিয়ম কি?

প্রশ্নঃ বর্তমানে অত্যাধুনিক ফ্যাশন্যাবল বা ফিগার সচেতন চাকুরিজীবী যেসব মায়েরা ব্রেস্ট ফিগার ঠিক রাখার জন্য বা নিজের হাজবেন্ড এর কাছে বক্ষযুগল অতিরিক্ত সেক্সি ভাবে উপস্থিত করার জন্য নিজ বাচ্চাদেরকে জন্মের পর থেকেই একফোঁটাও (বিন্দুমাত্রও) স্তনের দুধ পান করায় না অর্থাত্‍ নিজের সব বাচ্চাদেরকে ব্রেস্টের নিপল পর্যন্তও কোন দিনই টার্চ করতে দেয় না সেসব মায়েরা কিভাবে স্বামী সহবাস করবে ? ঐসব মায়েরা “পারম্যানেন্ট নিপল কভার” ইউজ করতে পারবে কি ?

উত্তরঃ সেক্স লাইফের এতো বড় প্রশ্নের মুখো-মুখি হতে হবে কখনো ভাবেনি। আর এই প্রশ্নের উত্তরে আধুনিক ফ্যাশনাবল মায়েদের কিছু তিতা কথা শুনতে হবে বলে আমি আগের থেকেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। তবে হতাশা করছি না।

বর্তমান হচ্ছে ফ্যাশনের যুগ। আর তাই বর্তমানের আধুনিক যুগের নারী পুরুষকে ফ্যাশনের সাথে তাল মিলিয়েই চলতে হয়। বিশেষ করে চাকরিজীবিদেরকে যুগের ফ্যাশনের সাথে নিজেকে আপডেট রাখতে হয়। অন্যের থেকে নিজেকে কিভাবে আরও আকর্ষণীয় রূপে লোকেদের সামনে উপস্থাপন করা যায় প্রত্যেকের মনের ভিতরেই সেই প্রতিযোগিতা বিরাজমান। শারীরিক গঠনের সুবিধার্থে পুরুষের ঝামেলা কম পোহাতে হয়। কিন্তু আধুনিক যুগের সাথে তাল মিলাতে গিয়ে এবং নিজের প্রতি লোকেদের আকর্ষণ ধরে গিয়ে রাখতে বর্তমানের নারীরা নিজেদের জীবন থেকে অনেক কিছুই বাধ দিয়ে দিচ্ছে। যেমন নারীরা নিজেদের বক্ষদেশ সুন্দর রাখতে গিয়ে সন্তানকে বুকের দুধ পান করানো বিরত থাকে। তাতে কি হচ্ছে…

সন্তান তার মাতৃদুগ্ধ পান করা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ডাক্তারদের ভাষায়, মায়ের বুকের দুধ সন্তানের অমৃত আধার। মায়ের দুধের বিকল্প শিশুর জন্য কোনো খাবার হতে পারে না। এই দুধেই রয়েছে শিশুর জন্য প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য উপকারিতা যা অন্য সব খাবারে থাকে না। মায়েদের স্তনের ফিগার নষ্ট হওয়ার ভয়ে আগতক সন্তান এই অমৃত আধার পান করে থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ফলে প্রাকৃতিক ভাবে উৎপাদিত মায়ের বুকের দুধ বুকেই শুকানো হচ্ছে, আর সদ্য জন্ম নেওয়া সন্তানের মুখেই তুলে দেওয়া হচ্ছে ভেজাল মিশ্রিত গুড়ো দুধ। অথচ নারীর এই স্তনদ্বয় দৈহিক ভাবে বড় হয়ে তাতে দুধ এসেছিল আগতক সন্তানকে পুষ্টিকর খাবারের মাধ্যমেই লালন পালন করার জন্যই।

মায়ের বুকের দুধ বুকেই শুকানোর ফলে শুধু শিশুই প্রয়োজনীয় পুষ্টি লাভ করা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে না বরং গর্ভধারণী মা নিজেও স্বাস্থ্যঝুঁকির দিকে ধাবিত হচ্ছে। সম্প্রতি একদল গবেষকরা জানিয়েছে…
“সন্তানকে বুকের দুধ পান করানো থেকে বিরত থাকা মায়েদের অকাল মৃত্যুর ঝুঁকি বেশি হয়”।

বুকের দুধ পান করালে নারীর স্তনের সৌন্দর্য নষ্ট হয়, আধুনিক যুগের মায়েদের এইসব থিওরি ভুল। অনেক অবিবাহিত নারীরও স্তন ঝুলে যায়। আর এটি হয়ে থাকে সঠিক মাপের ব্রা পরিধান না করা, দৈহিক ও হরমোন জনিত কারণেই। স্বীয় সন্তানকে বুকের দুধ পান করানোর জন্য নয়।

শুধুমাত্র স্তনের সৌন্দর্য্য ধরে রাখার জন্য, লোকেদের সামনে নিজের বক্ষদেশ আকর্ষনীয় রূপে উপস্থাপন করানোর জন্য যেসব মায়েরা স্বীয় সন্তানকে বুকের দুধ পান করানো থেকে বিরত থাকে, সেসব মায়েরা কখনো আদর্শ মা হতে পারে না। সেসব মায়েদের প্রতি সন্তানের মনের কোন টান থাকে না। আর সেসব বাচ্ছারাও অধিক রোগ বালায়তে ভোগে।

স্তনের সৌন্দর্য্য ধরে রাখা নারীদের সহবাস করার নিয়ম
যেসব মেয়েরা স্তনের সৌন্দর্য ধরে রাখতে স্বামী ও সন্তান স্তনে স্পর্শ করতে দেন না, স্তনে চুম্বন ও মর্দন করতে দেন না, যেসব নারীরা স্তনের স্পর্শ ছাড়াও দেহে যৌন উত্তেজনা লাভ করতে পারে। নারীর দেহে যৌন উত্তেজনা লাভের প্রচলিত স্থান ব্যতীতও নারীর দেহ আরও ৯ টি স্থান আছে, যেসব স্থানে পুরুষের হাতের ছোঁয়া পেলে নারীর দেহে যৌন উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। তাই আধুনিক যুগের নারীরা স্বামী সহবাসের সময় স্তনের চুম্বন, মর্দন ছাড়াই এইসব স্থানের স্পর্শের মাধ্যমে দেহে যৌন লাভের মাধ্যমে যৌন আনন্দ উপভোগ ও স্বামী সহবাসের মাধ্যমে যৌন আনন্দ ও তৃপ্তি লাভ করতে পারে।

স্তনযুগল আকর্ষণীয় করতে “পারম্যানেন্ট নিপল কভার ব্যবহার

ব্রেস্ট ফিগার
ছবিঃ নিপল কভার
যেসব নারীদের স্তনের দৃঢ়তা কমে সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে গেছে, তারা “পারম্যানেন্ট নিপল কভার ব্যবহারের মাধ্যমে নিজেদের স্তনদ্বয় আকর্ষণীয় করে রাখতে পারে বা অন্যদের সামনে আকর্ষণীয় ভাবে উপস্থাপন করতে পারে। যেহেতু এটি যথা সময়ে ব্রা-নিচে পড়া ও যথা-সময়ে খোলা যায়, তাহলে নারীর স্তনের সৌন্দর্য্য তুলে ধরতে কোনো সমস্যা নেই যদি না তাতে কোনো ক্ষতিকারণ পদার্থ না থাকে।

আর “পারম্যানেন্ট নিপল কভার ব্যবহারকারী নারীরা স্বামী সহবাসের সময় স্বামীকে স্তনের স্পর্শ-মর্দন ও চুম্বন করাতেও পারে এবং সন্তানকেও দুধ পান করাতে পারে যেহেতু এটি ব্রা’র নিচে ব্যবহারের মাধ্যমে স্তনকে আকর্ষণীয় রুপে উপস্থাপন করানো যায় ।

লাভ কি হচ্ছে?

স্তনের সৌন্দর্য্য ধরে রাখতে সন্তানকে স্তন পান না করিয়ে স্তনের সৌন্দর্য ও আকর্ষণীয় ধরে রেখে অন্য লোকদের মন ভরিয়ে কি লাভ হচ্ছে? ঐসব লোকেরা তো আপনার সন্তানের প্রয়োজনীয় পুষ্টি বা মাতৃদুগ্ধের আধার পূরণ করতে পারছে না, ভেজালের বদলে খাঁটি দুধ সন্তানের মুখে তুলে দিচ্ছে না, বরং আপনার স্তনের সৌন্দর্য্য দেখে দুষ্ট লোকেরা মনের তৃপ্তি মিটাচ্ছে এবং তার সাথে তৃপ্তির ঢেকুর তুলছে। কারো কারো মনের নোংরা কল্পনার রাণী আপনি হচ্ছেন না এমনটি গ্যারান্টি দিয়ে বলা যাবে না। যদি স্বামীর কাছেও নিজের স্তনের সৌন্দর্য ধরে রাখতে স্বামীকে স্তনে স্পর্শ-চুম্বন করতে দিচ্ছেন না, তাতেও স্বামীর কোন লাভ হচ্ছে না। স্বামীর কাছে এগুলো সো-পিসের মতো। প্রত্যেক পুরুষের কাছে নারীর স্তন আকর্ষণীয় বস্তু এবং সবারই তাতে স্পর্শ করতে আগ্রহী। আর এই আগ্রহ পূরণে স্বামী যদি স্ত্রীর কাছ থেকে ব্যর্থ হয় তা হলে হয়তো স্বামীর মনে তিক্ত অভিজ্ঞতা লাভ করাতে পারে।

যাদের স্তন ঝুলে গেছে তারা কীভাবে স্বামীর কাছে স্তনের সৌন্দর্য তুলে ধরবে?

যেসব নারীদের স্তন ঝুলে গেছে তারা সহবাসের পূর্বে দাঁড়িয়ে-বসে ব্লাউজ-ব্রা না খুলে বরং শুয়ে থাকাবস্থায় স্তন উন্মুক্ত করলে স্তন ঝুলানো দেখাবে না এবং অনাকার্ষণীয় দেখাবেনা।

পরামর্শঃ নারীর স্তনের সৌন্দর্যই স্ত্রীর প্রতি স্বামীর আকর্ষণ ধরে রাখতে পারে না। স্ত্রীর প্রতি স্বামীর আকর্ষণ ধরে রাখতে হয় কাজ ও গুণ দিয়ে। তাই শুধু স্তনের সৌন্দর্যের দিকে মনোযোগ না দিয়ে নিজের কাজের সম্পাদনার সৌন্দর্য্যের দিকে নজর দিতে হবে। কেননা, কারোর রূপের আকর্ষণ চিরদিন থাকে না, কিন্তু গুনের আকর্ষণ থাকে।