কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের সশস্ত্র হামলা..আর মাইরেন না ভাই ! মুখ দিয়ে পেনা ছুটছে তো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর সশস্ত্র হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগ। শনিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীর সামনে এ হামলা হয়। এসময় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে কোটা সংস্কার আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক নুরুসহ ৪/৫জন গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীরা জানান, কোটা সংস্কারের দাবিতে শনিবার সকাল ১১টায় কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে সংবাদ সম্মেলনের কথা ছিল।

সেখানে আন্দোলনকারীরা জড়ো হতে থাকলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় নুরুল হক নুরুর ওপর ছাত্রলীগ নেতারা চড়াও হও। তাকে রক্ষা করতে গেলে আন্দোলনকারীদের বেশ কয়েকজনকে পেটায় ছাত্রলীগ।কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আদিত্য নন্দী, আরিফুর রহমান লিমন, মেহেদী হাসান রনি, মাসুদ রানা মিঠু, সাংগঠনিক সম্পাদক দারুস সালাম শাকিল, এইচএন শওকত-উর রহমান,

কৃষি শিক্ষা সম্পাদক বরকত হোসেন হাওলাদার, ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক রিয়াজ আল রিয়াদ, মোহসীন হল শাখার সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান, সূর্যসেন হল সভাপতি গোলাম সারওয়ারসহ ২০/২৫জন নেতাকর্মী হামলায় অংশ নেয়।ঘটনাস্থলে উপস্থিত কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির প্রধান গ্রন্থাগারিক অধ্যাপক এসএম জাবেদ আহমেদকে লাঞ্ছিত করে ছাত্রলীগ। আহতদের উদ্ধার করে পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে আন্দোলকারীরা।

কোটা বাতিল নিয়ে হাসিনা কি নতুন সংশয় তৈরি করলেন?

বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের তুমুল আন্দোলনের মুখে গত ১২ই এপ্রিল সংসদে সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা বাতিলের ঘোষণা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।কিন্তু সেই ঘোষণার পর আড়াই মাস পার হলেও এখনো কোন বিজ্ঞপ্তি জারি হয়নি, যা নিয়ে আন্দোলনকারীরা মাঝে মধ্যেই উদ্বেগ ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী আর প্রতিবন্ধীদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা করতে ক্যাবিনেট সচিবের নেতৃত্ব একটি কমিটি কাজ করার কথা।

সে বিষয়েও কোন সিদ্ধান্তের কথা জানা যায়নি।এরই মাঝে বুধবার সংসদে কোটা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কিছু বক্তব্য নতুন করে সংশয়ের জন্ম দিয়েছে।সংসদে বিরোধী নেতা রওশন এরশাদ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল রাখার দাবি করলে তা উড়িয়ে দেননি প্রধানমন্ত্রী। উপরন্তু তার বক্তব্যের প্রশংসা করেন তিনি।শেখ হাসিনা সংসদে বলেন, ”আমি বলে দিয়েছি থাকবে না।

সেই থাকবে না’কে কিভাবে কার্যকর করা যায়, সেজন্য ক্যাবিনেট সেক্রেটারিকে দিয়ে একটি কমিটি করে দেয়া হয়েছে, যাতে এটা বাস্তবায়ন করা যায়। তবে আমি ধন্যবাদ জানাই মাননীয় বিরোধী দলীয় নেতাকে যে, তিনি বলেছেন মুক্তিযোদ্ধাদের কোটা থাকতে হবে। অবশ্যই মুক্তিযোদ্ধাদের জন্যই তো আজকে স্বাধীন।”amardesh247.com

Share this: