আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে বর্ধিত সভায় বক্তব্য দানকালে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে কেঁদেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার গণভবনে ওই সভায় প্রধানমন্ত্রী কিছু সময়ের জন্য আবেগাপ্লুত হয়ে থমকে যান। এসময় আওয়ামী লীগ নেতারা জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু বলে স্লোগান দিতে থাকেন।
প্রধানমন্ত্রী যখন স্বাধীনতা পরবর্তী ইতিহাসের কথা তুলে ধরছিলেন তখন তিনি ৭৫-এর নৃশংস খুনের কথা বলতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। ওই হত্যাকাণ্ডের পর তিনি ৩২ নম্বরের নিজ বাড়িতেও যেতে পারেননি বলে উল্লেখ করতে গিয়েই কেঁদে ফেলেন। এসময় কিছু সময়ের জন্য সভায় নীরবতার সৃষ্টি হয়। তখন আওয়ামী লীগ নেতাদের স্লোগানের পর আবারও বক্তব্য শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী।
এ সময় তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ থাকলেই যে বিজয় অর্জিত হয় তা গাজীপুরের আবার প্রমাণিত হয়েছে। দলে এবার কোনও বিভেদ ছিল না। এই বিজয়ই ভবিষ্যতে বিজয়ী হওয়ার পথ দেখাবে। এই ধারা বজায় রাখতে পারলে জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ বিজয়ী হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অবৈধভাবে ক্ষমতা এলে জনগণ নিপীড়িত হয়। একাশি পরবর্তী আওয়ামী লীগের সব আন্দোলন ছিল গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য ও ভোটের অধিকার নিশ্চিত করার জন্যে।
তিনি আরো বলেন, শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনীতি ছিল এ দেশের শোষিত বঞ্চিত মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য। মানুষ যেন মুক্তি পায় সে জন্য তিনি বছরের পর বছর জেল খেটেছেন। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে অনেক আগেই এ দেশ বিশ্বের বুকে উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে উঠত।
শেখ হাসিনা বলেন, দেশের মানুষের ভালোবাসা পেয়েছিলেন বলেই তিনি অকাতরে জীবন দিয়ে গেছেন। সব হারিয়ে আমি এখন নিঃস্ব। তাই এখন আমার পরিবার হলো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।