শিক্ষার্থীদের তুমুল আন্দোলনের মুখে গত ১২ই এপ্রিল সংসদে সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা বাতিলের ঘোষণা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু সেই ঘোষণার পর আড়াই মাস পার হলেও এখনো কোন প্রজ্ঞাপন না আসায় আটকে আছে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি। কিন্তু এখনও প্রজ্ঞাপন জারি না করাই কোটা পদ্ধতি এখনও রয়ে গেছে।
পিএসসির সদস্য সালাহউদ্দিন জানান, তারা এখন ৩৬ ও ৩৭তম বিসিএসের ননক্যাডার এবং ৩৮ ও ৩৯তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা নিয়ে কাজ করছেন। তবে কোটার বিষয়টি এখনো পরিষ্কার না হওয়ায় ৪০ তম বিসিএসের প্রজ্ঞাপন দেয়া যাচ্ছে না।
পিএসসি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাদিক বলেন, প্রতি বছরই বিসিএসের প্রজ্ঞাপন দেয়ার চেষ্টা করছেন তারা। ইতিমধ্যে ৩৭তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ হয়েছে। এখন ৩৬ ও ৩৭ তম বিসিএসের ননক্যাডার নিয়োগের কাজ চলছে। ৩৮ ও ৩৯ তম বিশেষ বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি চলছে। এবার ৪০তম বিসিএস নিয়ে কাজ করবে পিএসসি।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আবুল কালাম আজাদ বলেন, কোটা নিয়ে কাজ চলছে। দ্রুততম সময়ে এ নিয়ে প্রজ্ঞাপন দেয়া হবে।
এদিকে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী আর প্রতিবন্ধীদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা করতে ক্যাবিনেট সচিবের নেতৃত্ব একটি কমিটি কাজ করার কথা। সে বিষয়েও কোন সিদ্ধান্তের কথা জানা যায়নি।
এরই মাঝে বুধবার সংসদে কোটা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কিছু বক্তব্য নতুন করে সংশয়ের জন্ম দিয়েছে।
সংসদে বিরোধী নেতা রওশন এরশাদ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল রাখার দাবি করলে তা উড়িয়ে দেননি প্রধানমন্ত্রী। উপরন্তু তার বক্তব্যের প্রশংসা করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী সংসদে বলেন, আমি বলে দিয়েছি থাকবে না। সেই থাকবে না’কে কিভাবে কার্যকর করা যায়, সেজন্য ক্যাবিনেট সেক্রেটারিকে দিয়ে একটি কমিটি করে দেয়া হয়েছে, যাতে এটা বাস্তবায়ন করা যায়। তবে আমি ধন্যবাদ জানাই মাননীয় বিরোধী দলীয় নেতাকে যে, তিনি বলেছেন মুক্তিযোদ্ধাদের কোটা থাকতে হবে। অবশ্যই মুক্তিযোদ্ধাদের জন্যই তো আজকে স্বাধীন। তার এই বক্তব্য আর কোটা সংস্কারে সরকারের দীর্ঘসূত্রিতা নতুন করে সংশয়ে ফেলেছে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের।