নেত্রকোনার দুর্গাপুর-কলমাকন্দা উপজেলার যাত্রীরা পূর্বধলার ডেউডুকনের কংস নদের ফেরিঘাট পার হতে গিয়ে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। যাত্রীরা বলছে, সড়ক বিভাগ ইচ্ছে করেই ফেরি চালু করছে না। আর সড়ক বিভাগ বলছে, ফেরির যান্ত্রিক ত্রুটি রয়েছে। তা ছাড়া দক্ষ চালকও পাওয়া যাচ্ছে না। এ কারণে নৌকাযোগে ঝুঁকি নিয়ে বিভিন্ন যানবাহনকে নদী পারাপার করতে হচ্ছে।
গত সোমবার দুপুরে পূর্বধলা উপজেলার ডেউডুকুন ফেরিঘাটে গিয়ে দেখা যায়, নদীর দুই পারের যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ। জেলা পরিষদের দুটি নৌকা দিয়ে শত শত যাত্রীর পারাপার চলছে। এর মধ্যে একটি ছোট নৌকা, অন্যটি বড়। বড়টি দিয়ে মোটরসাইকেল ও সিএনজি পারাপার করা হচ্ছে। ছোটটি দিয়ে অল্প সংখ্যক যাত্রী ও মোটরসাইকেল পারাপার চলছে।
দুর্গাপুরের সিএনজিচালক রশিদ জানান, সম্প্রতি তাঁর সিএনজি নৌকায় তুলতে গেলে একটি বাচ্চাসহ মালপত্র নদীতে পড়ে যায়। তাই তিনি আর সিএনজি নৌকায় তুলছেন না। নদীর দুই পারে ওঠানামার জন্য ঘাট নেই। একটু বৃষ্টি হলেই দুর্ভোগ আরো বাড়ে। প্রতিদিন কাদামাটিতে ১০-২০ জন পা পিছলে মোটরসাইকেল নিয়ে দুর্ঘটনায় পড়ে।
ঘাটের ইজি বাইকের সিরিয়াল মাস্টার রাকিবুল হাসান জানান, নেত্রকোনা-দুর্গাপুর সড়কের সংস্কারের কাজ চলছে। তাই এ পথে দুর্গাপুর, কলমাকান্দা, পূর্বধলা ও নেত্রকোনার যাত্রীরা চলাচল করে। নেত্রকোনা থেকে ঘাটের দূরত্ব ১৪ কিলোমিটার। ঘাট থেকে দুর্গাপুরের দূরত্বও ১৪ কিলামিটার। দুটি নৌকার ওপর শত শত যাত্রীর ভরসা। অনেক সময় বৃষ্টি হলে অস্থায়ী ঘাট সরিয়ে নিতে হয়। তখন দুর্ভোগ বাড়ে। ইজারাদার ঘাট আর মেরামত করছে না।
ডেউডুকুন ফেরিঘাট দিয়ে সিএনজি, ইজি বাইক ও ভারী যানবাহন নৌকায় পারাপার করা ঝুঁকিপূর্ণ। তাই যানবাহন পারাপারের সুবিধার্থে সাত মাস আগে সড়ক ও জনপথ বিভাগ একটি বড় ফেরি চালু করার উদ্যোগ নেয়। এটি আর চালু হয়নি।
নেত্রকোনা সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী দিদারুল ইসলাম বলেন, ফেরির চালক পাওয়া যাচ্ছে না। চালক পেলেই এটি চালু করা হবে।