শারীরিক সম্পর্কের ৭ উপকারিতা দেখুন…

প্রিয়জনের সঙ্গে ভালোবাসা বিনিময়ের গুরুত্বপূর্ণ একটি মাধ্যম হচ্ছে শারীরিক সম্পর্ক। কিন্তু অধিকাংশই জানেন না শারীরিক সম্পর্ক এক কথায় প্রতিষেধকের মতো কাজ করে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, শারীরিক সম্পর্কে স্বাস্থ্যের নানা উপকার হয়।

চলুন তাহলে দেখে নেওয়া যাক শারীরিক সম্পর্কের উপকারি দিকগুলো…

by Taboola
Sponsored Links
You May Like
Flights In Bangladesh At Ridiculously Low PricesSave70
Play this Game for 1 Minute and see why everyone is addictedDelta Wars
ভালো ব্যায়াম
শারীরিক সম্পর্কের সময় বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সঞ্চালিত হয়, যা একপ্রকার ব্যায়ামের কাজ করে। পাশাপাশি শারীরিক মিলনের ফলে শরীর থেকে প্রচুর ক্যালোরি খরচ হয়, ফলে কোলেস্টেরলের মাত্রা কম হয়, রক্তপ্রবাহ ভালো হয়। গবেষকদের মতে, এক সপ্তাহ নিয়মিত হাঁটা-চলা করলে যে পরিমাণ ক্যালোরি খরচ হয়, সপ্তাহে তিন দিন নিয়মিত শারীরিক সম্পর্কের কারণে একই পরিমাণ ক্যালোরি খরচ হয়।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ক্ষেত্রে শারীরিক সম্পর্ক একটি থেরাপির মত কাজ করে। এর মাধ্যমে পাচন কার্য ঠিক হওয়ার ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ে।

ব্যথা থেকে মুক্তি
গবেষণায় দেখা গেছে, যৌন মিলনের ফলে মাথা ও হাড়ের জয়েন্টের ব্যথার থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব। অর্গাজমের আগে অক্সিটোসিন হরমোনের স্তর সামান্য থেকে পাঁচ গুণ বেড়ে যাওয়ায় এন্ড্রোফিন হরমোন নিঃসৃত হতে থাকে। ফলে মাথা ব্যথা, মাইগ্রেনের মতো ব্যথা থেকে আরাম পাওয়া যায়। তাই ব্যথা কমানোর ওষুধ না খেয়ে এ পদ্ধতি অবলম্বন করা শ্রেয় বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

কর্ম ক্ষমতা বাড়ে
শারীরিক সম্পর্কের সময় শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে হরমোন নিঃসরণ ঘটে। যার ফলে দুজনেরই কার্য ক্ষমতা বাড়ে পাশাপাশি সারাদিন শরীর চাঙ্গা থাকে। নিয়মিত মিলনের ক্লান্তি দূর হয় ও নানা রোগের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

ভালো ঘুম হয়
শারীরিক মিলনের শরীর থেকে অক্সিটসিন হরমোন নিঃসৃত হয়। ফলে মিলনের পর ঘুমও খুব ভালো হয়।

ওজন কমে
যৌন মিলনের ফলে প্রচুর পরিমাণ ক্যালরি ক্ষয় হয়,ফলে ব্যক্তির ওজন কমে। নিয়মিত শারীরিক মিলনের ফলে পেটের স্থূলতা হ্রাস পায়, আর মাংসপেশীতে জড়তা কম দেখা যায়। তাই হাজার হাজার টাকা খরচ না করে ওজন কমাতে এ উপায় অবলম্বন করা যেতে পারে।

সৌন্দর্য্য বাড়ে
শারীরিক মিলনের হরমোন নিসরনের ফলে রক্তপ্রবাহের মাত্রা বেড়ে যায়। যার প্রভাব পড়ে ত্বকের ওপর। এ সময় নারীদের শরীর থেকে এস্ট্রোজেন হরমোন নিঃসৃত হতে থাকে,যা তাদের চুলের সমস্যা দূর করে এবং ত্বক উজ্জ্বল করে আকর্ষণীয় করে তোলে।