অভিষেক সিনেমায় কত ছিল এই তারকাদের পারিশ্রমিক?

বলিউডে প্রতি বছরই অভিষেক হয় নিত্য নতুন তারকার। তাদের মধ্যে কেউ আসেন ফিল্মি ঘরানা থেকে, কেউ বা একেবারেই অন্য পেশা থেকে। ডেবিউ দিয়ে হাতেখড়ির পর নিজ গুণে ছিনিয়ে নেন সেরার মুকুট। বর্তমানে এই তারকাদের অনেকেই প্রতিষ্ঠিত, আবার কেউ এখন স্ট্রাগল করছেন। আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদন অনুযায়ি দেখে নেয়া যাক কেরিয়ারের প্রথম ছবিতে এই তারকরা কত পারিশ্রমিক নিয়েছিলেন।

অমিতাভ বচ্চন:
জার্নিটা শুরু হয়েচিল ১৯৬৯ সালে। মৃণাল সেনের জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত ছবি ‘ভুবন সোম’-এ ভয়েল ন্যারেটর হিসেবে কাজ করেছিলেন অমিতাভ। সেখান থেকে ‘সাত হিন্দুস্তানি’ ছবিতে তাকে কাস্ট করেন পরিচালক খজা আহমেদ আব্বাস। এই ছবিতে অভিনয়ের জন্য পাঁচ হাজার টাকা হাতে পেয়েছিলেন ‘বিগ বি’।

হৃতিক রোশন:
১৯৮০ সালে ওম প্রকাশের ‘আশা’ ছবিতে প্রথম মুখ দেখিয়েছিলেন হৃতিক। তখন তার বয়স মাত্র ছ’বছর। ছবিটির জন্য ১০০ টাকা হাতে পেয়েছিলেন বি-টাউনের ‘গ্রিক গড’।

অক্ষয় কুমার:
বলিউডের প্রথম সারির অভিনেতাদের মধ্যে একজন অক্ষয় কুমার। মার্শাল আর্টে ছিল তার আগ্রহ। রেস্তোরাঁয় ওয়েটারের কাজও করেছেন। বলিউডে অভিষেক ১৯৯১ সালে রাজ সিপ্পির ‘সৌগন্ধ’ ছবিতে। ডেবিউ ছবিটিতে পাঁচ হাজার টাকা পারিশ্রমিক দিয়েই কেরিয়ারের শুরু করেছিলেন অক্ষয়।

সালমান খান:
সালমানের বলিউডে ডেবিউ ছবি ‘বিবি হো তো অ্যায়সি’। এই ছবিতে কাজ করার জন্য নাকি প্রতি মাসে ১৫০০ টাকা করে পারিশ্রমিক পেতেন বলিউডের ভাইজান। সেখান থেকেই তিনি পরিচালক সূর্য বরজাতিয়ার নজরে পড়ে যান। পরের ছবি ‘ম্যায়নে প্যার কিয়া’ বক্স-অফিসে তুমুল সাফল্য পায়। ছবির জন্য সালমানকে ৩১ হাজার টাকা পারিশ্রমিক দেওয়া হয়েছিল।

সিদ্ধার্থ মালহোত্রা:
সিদ্ধার্থের বড় পর্দায় অভিষেক কর্ণ জোহরের হাত ধরে। ডেবিউ ছবি ‘স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার’-এর জন্য ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন বি-টাউনের এই হ্যান্ডসাম হাঙ্ক।

টাইগার শ্রফ:
২০১৪ সালে ডেবিউ ছবি ‘হিরোপান্তি’-র জন্য সেরা ডেবিউয়ের পুরস্কার পেয়েছিলেন জ্যাকি-পুত্র টাইগার। তার পরের ছবি ‘বাগি’ বক্স-অফিসে সুপারহিট। ডেবিউ ছবির জন্য অন্যান্য নবাগতদের মধ্যে টাইগারের পারিশ্রমিক ছিল বেশ ভালই। এক কোটি টাকারও বেশি পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন তিনি।

হর্ষবর্ধন কাপুর:
তার প্রথম ছবি ‘মিরজা’ বক্স অফিসে চলেনি। তবে সোনম কাপুরের ভাই হর্ষবর্ধন কাপুরের অভিনয় ভালই লেগেছিল সমালোচকদের। সেরা ডেবিউ অভিনেতার পুরস্কারও পেয়েছিলেন তিনি। অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন অভিনব বিন্দ্রার বায়োপিকের জন্য তিনিই ছিলেন প্রথম পছন্দ। এই ছবিতে অভিনয়ের জন্য নাকি এক টাকা পারিশ্রমিক নেন হর্ষবর্ধন।

নিধি অগ্রবাল:
বলিউডে নবাগতাদের মধ্যে ইতিমধ্যেই বেশ জনপ্রিয় নিধি। মডেলিং দুনিয়া থেকে পা রেখেছেন রূপোলি পর্দায়। বি-টাউনে তার ডেবিউ ছবি টাইগার শ্রফের বিপরীতে ‘মুন্না মাইকেল’। ছবির জন্য নাকি ১ কোটি টাকা পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন নিধি।

বানিতা সাঁধু:
সুজিত সরকারের ‘অক্টোবর’ ছবি থেকেই বেশ হইচই ফেলে দিয়েছেন বানিতা। ‘অক্টোবর’-এ অভিনয়ের আগে মডেলিং করতেন। পাশাপাশি অ্যাড ফিল্মেও মুখ দেখিয়েছেন বানিতা। বক্স-অফিসে ছবিটির তুমুল সাফল্যের জন্য ৩ কোটি টাকা পারিশ্রমিক দেওয়া হয় তাকে।

আয়ুষ্মান খুরানা:
তিনি একাধারে গায়ক, সঞ্চালক এবং অভিনেতা। অভিনয়ের জগতে হাতেখড়ি সুজিত সরকারের ‘ভিকি ডোনার’ ছবি দিয়ে। এই ছবিতে আয়ুষ্মানের অভিনয় ও স্ক্রিন প্রেজেন্স পছন্দ করেন দর্শকেরা। এই ছবিতে কাজ করার জন্য মাত্র আড়াই লক্ষ টাকা পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন আয়ুষ্মান।

ঈশান খট্টর:
বলিউডে নবাগতাদের মধ্যে ইতিমধ্যেই বেশ নাম করেছেন শাহিদ কাপুরের ভাই ঈশান খট্টর। শ্রীদেবী কন্যা জাহ্নবী কাপুরের বিপরীতে ‘ধড়ক’ ছবিতে তাকে দেখতে চলেছেন দর্শকেরা। ছবিটির জন্য নাকি ৬০ লক্ষ টাকা পারিশ্রমিক পাচ্ছেন তিনি। এর আগে ২০০৫-এ সঞ্জয় দত্তের ‘ওয়াহ! লাইফ হো তো অ্যায়সি’ ছবিতে একটি ছোট চরিত্রে অভিনয় করেছিল বালক ঈশান।

দর্শিল সাফারি:
দাঁত উঁচু সেই দুষ্টু ছেলেটাকে মনে আছে? পড়াশোনায় যার একেবারে মন বসত না? নিকুম্ভ স্যারের পাল্লায় পড়ে যার জীবনটাই আমূল বদলে গিয়েছিল। ২০০৭-এ মুক্তি পাওয়া ‘তারে জমিন পর’ ছবির সেই ছোট্ট ছেলেটা দর্শিল সাফারি। এই ছবিতে অভিনয়ের জন্য তিন লক্ষ টাকা পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন দর্শিল।

জাহ্নবী কাপুর:
শশাঙ্ক খৈতানের পরিচালনায় ‘ধড়ক’ ছবিতে শাহিদ কাপুরের ভাই ঈশান খট্টরের বিপরীতে রয়েছেন জাহ্নবী। তার স্ক্রিন প্রেজেন্স ইতিমধ্যেই সাড়া ফেলেছে ইন্ডাস্ট্রিতে। ছবিতে অভিনয়ের জন্য ৬০ লক্ষ টাকা পারিশ্রমিক পাচ্ছেন জাহ্নবী।

হর্ষ মায়ার:
‘আই এম কালাম’ ছবির সেই শিশু অভিনেতাকে মনে আছে? মাত্র ১৩ বছরের ছেলের দুরন্ত অভিনয় নজর কেড়েছিল গোটা ইন্ডাস্ট্রির। এই ডেবিউ ছবির জন্যই জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন হর্ষ মায়ার। তার পারিশ্রমিক ছিল ১ লক্ষ টাকা।