দেবর ভাবির সম্পর্ক মানে সুমধুর পবিত্র একটি সম্পর্ক। আমাদের সমাজে এমন কথাও প্রচলিত আছে যে সংসারে মায়ের পরেই থাকে ভাবির অবস্থান। তবে কিছু মানুষের বিবেকহীন কাজে এটি প্রশ্নবিদ্ধ হতে বাধ্য হয়। এবার দেবরকে পুলিশের হাত থেকে বাঁচাতে গিয়ে এখন কারাগারে ভাবী। আজ সোমবার (২৫ জুন) সন্ধ্যায় সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার পংরৌহা গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
উল্লাপাড়া থানার উপ-পরিদর্শক মো: শাহীন জানান, ওই গ্রামের মঈন উদ্দিনের ৮ম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ে ময়না খাতুনের সঙ্গে উপজেলার মাটিকোড়া গ্রামের আলতাফ হোসেনের ছেলে তরিকুল ইসলামের বিয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছিল।
যথাসময়ে বরযাত্রীরা সেখানে আসেন। বাল্য বিয়ের খবরটি প্রশাসনের কানে গেলে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে। বিষয়টি টের পেয়ে কনের বাবার অনুরোধে বরযাত্রী হিসেবে আগত বরের ভাবী রিনা খাতুনকে দ্রুত কনে সাজিয়ে বিয়ের আসরে বসিয়ে রাখা হয়। রিনা বরের সহোদর ভাই আব্দুল জলিলের স্ত্রী।
তবে ঘটনাটি ফাঁস হয়ে গেলে রিনা খাতুনকে পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এ সময় বিয়ের আসরের অন্যরা পালিয়ে যান। বর্তমানে রিনা খাতুন থানা হাজতে আছেন। ঘটনাটি এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
পরে এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: আরিফুজ্জামান বলেন, সমাজ থেকে বাল্য বিয়ে বন্ধে প্রশাসন কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণে পিছপা হবে না। আমাদের এ ধরনের অভিযান চলবে।