খোলা ময়দানে কেবলার দিকে ফিরে বা কেবলাকে পেছনে রেখে প্রকাশ্যে পেশাব পায়খানা করা হারাম। আর চার দেয়ালের মাঝে কেবলাকে পেছনে রেখে পায়খানা পেশাব করা গেলেও সামনে রেখে তা নিষেধ।
মুসলিম উম্মাহর জন্য কেবলামুখী হয়ে নামাজ আদায় করা ফরজ। আর এ কেবলা মুসলমানদের জন্য অনেক মর্যাদার স্থান। হাদিসে পাকে কেবলার দিকে ফিরে পেশাব-পায়খানার হুকুম সম্পর্কে সুস্পষ্ট বর্ণনা রয়েছে।
হজরত আবূ আইয়ুব আনসারি রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা যখন পায়খানা-পেশাব করতে যাও। তখন পায়খানা-পেশাবের সময় কেবলাকে সামনে বা পেছনে রেখে বসো না। বরং পূর্ব এবং পশ্চিম দিকে ফিরে বসো।
হজরত আবু আইয়ুব রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমরা সিরিয়াতে এসে দেখতে পেলাম এখানকার সৌচাগারগুলো কেবলার দিকে মুখ করে স্থাপিত। অতএব আমরা কেবলার দিক থেকে ঘুরে যেতাম এবং আল্লাহর কাছে ইসতেগফার তথা ক্ষমা প্রার্থনা করতাম।’ (তিরমিজি, ইবনে মাজাহ, বুখারি ও মুসলিম)
উল্লেখ্য যে এ হাদিসে পূর্ব এবং পশ্চিম দিকে ফিরে পায়খানা পেশাব করার মানে হলো মক্কা থেকে উত্তরে ছিল সিরিয়ার অবস্থান। সুতরাং সিরিয়ায় অবস্থানকারীদের কেবলা হলো দক্ষিণ দিকে। যেমন আমাদের (বাংলাদেশের) কেবলা পশ্চিম দিকে। কেননা কেবলা থেকে পূর্ব দিকে আমাদের অবস্থান।
সর্বোপরি মুসলিম উম্মাহর কেবলার সম্মান ও মর্যাদার অনেক বেশি। কেবলামুখী হয়ে নামাজ পড়া মুসলিম উম্মাহর জন্য ফরজ। তাই কেবলামুখী হয়ে পায়খানা পেশাব করা হারাম। এমনকি কেবলাকে পছনে রেখে পায়খানা পেশাব করাও ঠিক নয়।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে কেবলার যথাযথ মর্যাদা ও সম্মান করার তাওফিক দান করুন। পায়খানা পেশাবসহ যাবতীয় গর্হিত কাজ কেবলামুখী হয়ে করা থেকে বিরত থাকার তাওফিক দান করুন।