বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের মতে স্টিফেন হকিং শুধু কিংবদন্তি বিজ্ঞানীই ছিলেন না, তিনি হয়ে উঠেছিলেন ‘সেলিব্রিটি বিজ্ঞানী’। হকিং ছিলেন ব্ল্যাক হোল তত্ত্বের জনক। তার গবেষণার বিষয় সাধারণ মানুষের কাছে স্বাভাবিকভাবে জটিল হলেও, হকিংয়ের বোঝানোর জন্যই তা সহজ হয়ে গিয়েছিল বিজ্ঞান থেকে দূরে থাকা মানুষের কাছেও।
চলতি বছরের ১৪ মার্চ, ৭৬ বছর বয়সে পৃথিবীকে বিদায় জানান বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং। ঘটনার পরে কেটে গেছে তিন মাস। কিন্তু গত ১৬ জুন, পৃথিবী থেকে প্রায় ৩৫০০ আলোকবর্ষ দূরত্বের একটি ব্ল্যাক হোলের (1A 0620-00) কাছে শোনা যায় স্টিফেন হকিং-এর কণ্ঠস্বর।
নাহ! ভৌতিক বা অলৌকিক কোনো ঘটনা নয়। পুরোপুরি বৈজ্ঞানিক ব্যাপার। ‘1A 0620-00’ নামের ব্ল্যাক হোলটি আবিষ্কৃত হয় ১৯৭৫ সালে। সেখানেই রেডিও ওয়েভের সাহায্যে স্টিফেন হকিং-এর কণ্ঠস্বর ট্রান্সমিট করা হয়। স্পেনের ‘ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি’ এই কাণ্ড ঘটায়। মিনিট ছয়েকের হকিং-এর সেই বক্তৃতার সঙ্গে সংগীত সংযোজন করেছিলেন গ্রিক সংগীত পরিচালক ভানজেলিস।
এ ব্যাপারে সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, স্পেস এজেন্সির এই সম্মান জ্ঞাপনে আপ্লুত বৈজ্ঞানিক হকিং-এর মেয়ে লুসি হকিং। তিনি বলেন, তার মহাকাশ অন্ত প্রাণ বাবা ও পৃথিবীর মধ্যে খুব সুন্দর এক সংযোগ স্থাপন করেছে এই ট্রান্সমিশন।