পথচলতি এক আম আদমিকে পরিচ্ছন্নতার পাঠ পড়িয়েছিলেন আনুশকা শর্মা। কিন্তু সেই পাঠ পড়াতে গিয়ে আজান্তেই বিপাকে পড়ে গেলেন বলিউড অভেনেত্রী। আরহান সিং নামক সেই ‘আম আদমি’ এবার আনুশকা ও তার স্বামী বিরাট কোহলিকে আইনি নোটিশ পাঠালেন।
১৭ জুন সোশ্যাল সাইটে নিজের প্রোফাইল থেকে একটি ভিডিও পোস্ট করেছিলেন বিরাট। তাতে দেখা যাচ্ছে, গাড়ির মধ্যে থেকে আনুশকা পাশে থাকা একটি গাড়ির একজনকে প্রচণ্ড বকাঝকা করছেন। কারণ, সেই গাড়িতে সওয়ার হওয়া ভদ্রলোক রাস্তায় আবর্জনা ফেলেছিলেন। গোটা ঘটনাটা মোবাইলে বন্দি করেন বিরাট। যিনি গাড়িতে স্ত্রীর ঠিক পাশেই বসে ছিলেন। আনুশকা শর্মার মতো প্রথম সারির তারকার কাছ থেকে এমন প্রতিক্রিয়া পেয়ে থতমত হয়ে যান আরহান। বিরাট সেই ভিডিও পোস্ট করে লিখেছিলেন, ‘রাস্তায় আবর্জনা ফেলেন এই সমস্ত মানুষগুলো। অভিজাত গাড়িতে ঘুরে বেড়ান। তবে মগজটা বোধ হয় সঙ্গে নিয়ে বেরোন না। এই মানুষগুলো আমাদের দেশকে পরিচ্ছন্ন রাখবে? রাস্তাঘাটে এই ধরণের কুকর্ম দেখলে গর্জে উঠুন, সচেতনতা ছড়ান।’
পরে জানা যায়, আনুশকার কাছে বকাঝকা খাওয়া সেই আম আদমি মোটেও আম আদমি নন। তিনিও সেলেব্রিটি। শাহরুখ খানের সঙ্গে ‘ইংলিশ বাবু দেশি মেম’ সিনেমায় শিশু অভিনেতা হিসাবে কাজ করেছিলেন। তারপর শাহিদ কাপুরের সঙ্গে ‘পাঠশালা’ সিনেমায় পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করেছেন। এছাড়াও নয়ের দশকের জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘দেখ ভাই দেখ’ এ শেখর সুমনের মতো অভিনেতার সঙ্গে কাজ করেছেন আরহান।
প্রকাশ্য রাস্তায় আনুশকার কাছে ধমক খেয়ে আরহান চুপ করে থাকলেন না। কোহলি দম্পতিকে আইনি নোটিস পাঠিয়ে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখলেন, ‘এই পোস্ট করে জনপ্রিয়তা আদায় করার কোনও ইচ্ছে আমার নেই। গাড়ি থেকে প্লাস্টিক আমি ফেলেছিলাম। আমার বেপরোয়া হয়ে ওঠা উচিত হয়নি একেবারেই। তারপর পাশের গাড়ির কাঁচটা নেমে গেল হঠাৎ করেই। সেখান থেকে মুখ বাড়িয়ে সুন্দরী আনুশকা শর্মা আচমকা অদ্ভুত ব্যবহার করতে শুরু করলেন। কথাবার্তা ও ব্যবহারে একটু শালীনতা আনলে তারকা হিসাবে আনুশকা হয়তো খাটো হয়ে যাবেন না। আমার গাড়ি থেকে যে আবর্জনা সেদিন রাস্তায় পড়েছিল তার থেকে অনেক বেশি আবর্জনা আনুশকার মুখ থেকে বেরিয়ে এসেছিল। তার উপর কোন মানসিকতা থেকে বিরাট কোহলি গোটা ঘটনাটা মোবাইলে তুলে পোস্ট করলেন জানি না।’
আরহানের মা-ও ছেলের সমর্থনে এগিয়ে এসেছেন। এবং রীতিমতো আক্রমণ করেছেন কোহলি দম্পতিকে। তিনি ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন, ‘পরিচ্ছন্নতা নিয়ে সচেতনতা বাড়ানোর নামে এটা পাবলিসিটি স্টান্ট। ব্যক্তিগত দিকের সীমারেখা লঙ্ঘন করে এমন একটা ভিডিও পোস্ট করা কতটা ঠিক! এই ভিডিওতে আমার ছেলেকে লজ্জিত করে তোলার চেষ্টা করা হয়েছে।’