হাদীস শরীফে নারীদেরকে বলা হয় ‘আওরত’। এর অর্থ গুপ্ত বা আবৃত। সুতরাং নারীর নামের সঙ্গেই মিলেমিশে আছে তাদের জন্য পর্দা কতটা গুরুত্বপূর্ণ এবং আবশ্যকীয়। শরীয়তে নারীদের জন্য পর্দাকে ফরজ করা হয়েছে। আর সেই পর্দা নিয়েই বিভিন্ন সময় নানান ধরণের যুক্তি শোনা যায়। সমাজে তিন শ্রেণীর নারীদের দেখা যায়, ১. পর্দাশীল নারী, ২. বেপর্দা নারী আর ৩, সুযোগ-সন্ধানী পর্দার নারী।
এর মধ্যে তৃতীয় শ্রেণীর নারীরা অংশ বিশেষ কিংবা প্রয়োজনবোধে পর্দা করেন। এটা সবারই জানা যে, ছেলেদের দেখলেই মেয়েরা তাদের মাথার কিংবা বুকের ওড়না ঠিক করেন। বিষয়টি নিয়ে অনেকেই অনেক ধরণের কথা বলেন। কিন্তু বাস্তবতা কয়জনই বা জানেন?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনৈক এক পাঠক লিখেছেন, হ্যাঁ। এটা সত্য এবং খুব সচরাচর দেখা যায়। এটা কী কারণে করে সেটা বলা মুশকিল। তবে মেয়েরা তাদের ওড়না ঠিক করার কারণ ধরণভেদে বিভিন্ন অর্থ হতে পারে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য দুটি ধরণ হল…
১.মাথার ওড়না ঠিক করা:
অনেক সময় দেখা যায় মেয়ের গলায় ওড়না ঠিকই আছে কিন্তু সেটা পুরুষ বা ছেলেদের দেখলেই মাথায় তুলছে কিংবা ঠিকভাবে পরে নিচ্ছে। এটার কারণ হিসেবে যেটা প্রতীয়মান তা হলো মেয়ের প্রতি মা-বাবার শেখানো পারিবারিক মূল্যবোধ। সমাজে গ্রহণযোগ্য এবং নৈতিকতা সম্পর্কে শিক্ষাদান প্রতিটি বাবা-মায়েরই দায়িত্ব। তারই ধারাবাহিকতায় খুব ছোটোবেলা থেকেই সন্তানদের বিভিন্ন আচরণের ধরণ শেখান মা-বাবা। আর এই পরিবেশে বেড়ে উঠার কারণেই তার মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই মাথায় ওড়না ঠিক করার অভ্যাস গড়ে ওঠে।
২. বুকের ওড়না ঠিক করা:
নারীদেহের যে কয়েকটি অঙ্গ বাহ্যিকভাবে খুব আকর্ষণীয় এবং পুরুষদের নজরে পড়ে তার মধ্যে স্তন অন্যতম। ধরুণ কোনো মেয়ের গলায় ওড়না আছে। কিন্তু সেটি বুকের ওপর নেই। ওই সময় পুরুষের নজর পড়লেই দেখা যায় অধিকাংশ মেয়েরা বুকের অংশে ঠিকঠাক করে ওড়না দেয়। এর দুটি কারণ থাকতে পারে ১টি, পুরুষের কু-দৃষ্টি থেকে নিজেকে রক্ষা করা। আর দ্বিতীয়টি ছোটবেলা থেকেই পরিবার থেকে যে শিক্ষা পেয়েছেন তার যথাযথ প্রয়োগ।