সর্বনামেই খর্বনাম

এক সময় আমাদের দেশে টিভি বলতে ছিল শুধু বিটিভি। আর এখন অনেক চ্যানেল, অনেক খবর, অনেক অনুষ্ঠান, অনেক টক, অনেক টকার, অনেক নাটক, অনেক নাট্যকার, অনেক অ্যাক্টর, অনেক ডিরেক্টর। সাথে আছে শতশত রিপোর্টার ক্ষণে ক্ষণে ক্যামেরা লেন্সে করছেন নানা কিছু আবিষ্কার। এরপর আবার বাড়াবাড়ি রকম সরাসরির ছড়াছড়ি। আসলে আমাদের টিভি চ্যানেল যত বাড়ছে, দেখার আগ্রহ ততো না বাড়লেও দেখানোর আগ্রহ বাড়ছে নানা ভাষায়, নানা ভঙ্গিতে, নানা ইঙ্গিতে। কখনো অনুরোধ সঙ্গেই থাকুন, সাথেই থাকুন, বিরতি নিচ্ছি, বিরতি দিচ্ছি, এক্ষুণি আসছি। তবে এই আহ্বানে কেউ সঙ্গে থাক বা না থাক, সবার জন্যই ধন্যবাদ থাকে। অথচ এসব চ্যানেলের পরীক্ষামূলক সম্প্রচার কিংবা উদ্বোধনের সময় প্রায় প্রতিদিনই প্রচার হতো বিভিন্ন প্রত্যাশার কথা। কিন্তু উদ্বোধনের পর এসব চ্যানেলের অধিকাংশেই প্রত্যাশী দর্শকদের প্রত্যাশিত প্রত্যাশার প্রাপ্তি খুঁজে পাওয়া যায় না। কিন্তু তারপরও কিছু কিছু চ্যানেল যখন নিজের অনুষ্ঠান নিয়ে স্বাদ মিটিয়ে নিজের ঢোল নিজে পিটিয়ে আত্মপ্রচারে লিপ্ত হন তখন স্বভাবতই দর্শকরা তখন ক্ষিপ্ত হন। আসলে আমাদের এখানে অধিকাংশ টেলিভিশন চ্যানেল প্রচার বা প্রকাশের ক্ষেত্রে যেমন খুশি তেমন নীতিতে চলে। আমরা জানি হাসিতে খুশির প্রকাশ। ভাষায় ভাবের প্রকাশ। কিন্তু চ্যানেলের কাছে এই হাসির অর্থ হলো ভাঁড়ামিপূর্ণ অশুদ্ধ আঞ্চলিক ভাষায় অশোভন অঙ্গভঙ্গিতে বিরক্তিকর সংলাপ প্রক্ষেপণ। কারণ তাদের কমেডিতে রসজ্ঞানের অভাব। আর ভাষায় ভাবের প্রকাশ করতে গিয়ে কিছু কিছু নাটকে ভাষার যে করুণ পরিণতি দেখা যায় তাতে ভাবতে কষ্ট হয় আমরা এই ভাষার জন্য জীবন দিয়েছিলাম? টেলিভিশনের নিয়ন্ত্রিত নীতি-নিয়মের আবদ্ধ ফাইল থেকে অনুষ্ঠানকে বন্দিমুক্ত করে স্বাধীন ও নিয়ন্ত্রণহীন অবস্থায় নির্মাণ ও প্রচার সুযোগ দেওয়ার মূল কারণ আমরা যাতে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রতিভাদের মূল্যায়ন করতে পারি। প্রতিভাবান হলে যে কেউ যেন এসব চ্যানেলে তার প্রতিভার দ্যুতি দেখাতে পারেন। আমরা যাতে আরো বেশি বেশি শিল্পী, কলাকুশলী পাই। আমাদের শিল্পী ও শিল্প ভাণ্ডার যেন আরো সমৃদ্ধ হয়। অথচ আমরা কি দেখছি? শিল্পী সৃষ্টি তো দূরের কথা চ্যানেল নিয়ে অনেকে নিজেরাই মাঠে নেমে পড়েছেন। টেলিভিশনকে পারিবারিক মিডিয়া বানিয়ে ফেলেছেন কেউ কেউ। যে পর্দাতেই তাকান না কেন, সব যেন সমান। এর ফলে কি যোগ্য, কি অযোগ্য, কি ন্যায্য, কি ত্যায্য তা আর থাকে না বিচার্য। দর্শকরা প্রচারে বৈচিত্র্য নয়, বিষয়ে বৈচিত্র্য চান।

কেউ কেউ বলেন ভালো গল্প, ভালো স্ক্রিপ্ট হচ্ছে ভালো নাটকের পূর্বশর্ত। কথাটি আংশিক সত্য। এক সময় ভালো স্ক্রিপ্ট বা ভালো গল্পের কারণে নাটক ‘ভালো’, ‘খুব ভালো’ কিংবা ‘উত্তম’ হতো। কারণ তখন নাটকের শিল্পী বা প্রযোজকের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা নিয়ে কারো সংশয় ছিল না। এখনকার অধিকাংশ নাটকের পরিচালকের দক্ষতা, অভিজ্ঞতা ও মানজ্ঞান নিয়ে সংশয় রয়েছে। ইদানিং নাটকের সেটে গেলে অধিকাংশ পরিচালককেই দেখা যায় হাফপ্যান্ট পরা, মাথায় ক্যাপ ও ঘাড়ে বা কাঁধে গামছা ঝোলানো। পরিচালকের ঝুলিতে ৩ কিংবা ৪টি নাটক করার অভিজ্ঞতা। আগে কিন্তু এ ধরনের পোশাক সর্বস্ব পরিচালক ছিল না। সংশপ্তকের সেই আবদুল্ল­াহ আল মামুন থেকে শুরু করে অয়োময়ের নওয়াজীশ আলী খান পর্যন্ত অনেককেই দেখেছি, যারা স্ক্রিপ্ট নিয়ে গবেষণা করতেন। তখন পরিচালক, নাট্যকার, শিল্পী সবার মধ্যেই একটি দায়বোধ কাজ করতো। মহড়া ছাড়া নাটক ছিল কল্পনার অতীত। আগে একটি ছোট্ট চরিত্রের জন্যও প্রয়োজনে বিশেষ শ্রেণির শিল্পী নেওয়া হতো। আর এখন শিল্পীর কোনো শ্রেণি নেই। অভিনয় জ্ঞান থাকুক বা না থাকুক অনেক নায়ক-নায়িকাও রিয়েলিটি শো থেকে আমদানি করা হয়। অনেক ক্ষেত্রে রাস্তা থেকে ধরে এনেও শিল্পী নাম দিয়ে অভিনয় করানো হয়। আবার কিছু কিছু পরিচালক বলেন, এটাই হচ্ছে রিয়েলিটি। যেভাবে মানুষ কথা বলে, যেভাবে চলে, সেটাই নাটকে আসবে, অভিনয় কেন? সুতরাং চমত্কার একটি স্ক্রিপ্টে যদি এ ধরনের পোশাক সর্বস্ব পরিচালক এবং তাদের চিন্তাধারায় রাস্তা থেকে ধরে এনে কাউকে দিয়ে অভিনয় করানো হয় তবে নাটকটি খারাপ হতে বাধ্য। তারপর আবার এজেন্সি নিয়ন্ত্রিত মিডিয়া। ব্যবসা যেখানে মুখ্য সেখানে চ্যানেল কর্তৃপক্ষেরও মান দেখার সুযোগ নেই। এরপর আছে স্বজনপ্রীতি। ইদানিং অনেক চ্যানেলে কর্তৃপক্ষের নিজের এবং শ্বশুরবাড়ির পক্ষের আত্মীয়স্বজনদেরও নানা অনুষ্ঠানে দেখা যায়। গান তো আছেই, শুনেছি এদের কেউ কেউ আবার নাটকের প্রধান প্রধান চরিত্রেও অভিনয় করছেন। আর কিছু না হলে রান্নার অনুষ্ঠান তো আছেই। আসলে একটি ভালো নাটকের জন্য প্রয়োজন সমন্বিত প্রয়াস। শুধু ভালো স্ক্রিপ্টই নয়, প্রয়োজন ভালো পরিচালক, যিনি ক্যামেরা বোঝেন, নাটক বোঝেন। প্রয়োজন ভালো শিল্পীর। জমি যত উর্বরই হোক না কেন, ভালো কৃষক না হলে তিনি ভালো ফসল উত্পাদন করতে পারবেন না। কারণ তিনি জানবেন না, কখন কোন ফসল ভালো হয়, কোন ফসলের জন্য কি সার প্রয়োজন। সঠিক যত্নের অভাবে ফলন ভালো হবে না। কথা বলা আর কাজ করার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে।

এই ঈদের কথাই ধরা যাক, আগে ঈদের নাটক হতো দুই থেকে তিনটি, আর এখন হাজারের ওপর। ঈদ এলে টিভি নাটকগুলোতে যেন ভাঁড়ামির প্রতিযোগিতা শুরু হয়। কিছু কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া সবই যেন গতানুগতিক। কিছু কিছু ক্ষেত্রে নাটকের পাত্র-পাত্রী, সংলাপ, বিষয়বস্তুও প্রায় একইরকম দেখা যায়। অথচ বলা হয়, পরিবর্তনই হচ্ছে শিল্পের মূলকথা। পরিবর্তন ছাড়া সৃষ্টি হয় না। সৃষ্টির প্রেরণা কখনো পরিবর্তনের জনক, কখনো সহায়ক। কল্পনা দিয়ে শিল্পী শুধু যা আছে তাই পরিবর্তন ঘটান না, যা নেই তাও সৃষ্টি করেন। পরিবর্তন ও সৃষ্টি একটির ওপর আরেকটি নির্ভর করে। তাই পরিবর্তন ও বৈচিত্র্যহীন নাটক বা অনুষ্ঠান দেখে কোথাও স্থির থাকতে না পেরে অস্থির দর্শক বিরক্ত হয়ে খোঁজেন রিমোট। দেন টিপ, চলে যান অন্যত্র। অনুষ্ঠানের এই বেহাল দশা নিয়ে আমরা প্রায়শই ইত্যাদিতে বিভিন্ন নাট্যাংশ প্রচার করেছি এবং করছি। কিছুদিন আগে ইত্যাদিতে একজন প্রতীকী পরিচালকের সাক্ষাত্কার প্রচার করেছিলাম। অনেকেই পর্বটির প্রশংসা করেছিলেন। ইত্যাদির প্রতীকী টিভি চ্যানেল কাশেম টিভির রিপোর্টারের মাধ্যমে নেওয়া সাক্ষাত্কারটি ছিল এ রকম—

রিপোর্টার:নাটকের বাজেট, বিজ্ঞাপন যন্ত্রণা, শিল্পী সঙ্কট, সিডিউল সমস্যা, লোকেশন, নাটকের মান ইত্যাদি বিষয় নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। এবার আমরা একটু ভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলবো। ইদানিং অধিকাংশ নাটকেই দেখা যায় মা-বাবার কোনো চরিত্র থাকে না। বিশেষ করে নায়ক-নায়িকার কোনো জন্ম পরিচয়ও পাওয়া যায় না। এরা কার ছেলে, কার মেয়ে ইত্যাদি।

পরিচালক:শুধু মা-বাবা না, আজকালকার নাটকে একান্নবর্তী পরিবারের যে ঐতিহ্য সেটাই আপনি পাবেন না। মা-বাবা ছাড়াও চাচা, মামা, খালা, খালু, ফুফা, ফুফু, বেয়াই-বেয়াইন, শ্বশুর-শাশুড়ি, দেবর-ননদ, শালা-দুলাভাই এসব চরিত্র আপনি খুেঁজ পাবেন না। এখন নাটক হচ্ছে নায়ক-নায়িকা আর বন্ধু-বান্ধবীদের নিয়ে। আর সাথে দুটি মোবাইল। লোকেশনও কমে গেছে। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অনেকে লোকেশনের কাজ সেরে ফেলেন। ফোনে বলে দেয় আমি এখন ভুরুঙ্গামারি নইলে কক্সবাজার আছি। ব্যস! ফোনের ডায়ালগেই কাজ হয়ে যায়, লোকেশন ভেরিয়েশন।

রিপোর্টার:এতে তো আমাদের পারিবারিক যে বন্ধন সেটা ক্ষুণ্ন্ন হতে চলছে…!

পরিচালক:দোষটা খালি আমাদের না, আর্টিস্ট ক্রাইসিসও আছে। আপনি নাটকের জন্য প্রচুর নায়ক-নায়িকা পাবেন, চেহারা একটু সুন্দর হলে আর মোটামুটি কথা বলতে পারলেই সে সিরিয়ালের নায়িকা, না হলে নায়ক হয়ে যায়। কোনো অভিনয় শিক্ষার প্রয়োজন নেই। আর যদি কোনো সাবান, ক্রিম বা চানাচুরের মডেল হয় তাহলে তো কথাই নেই। আর্ট কালচার এখন এজেন্সির পকেটে। এজেন্সি যা দেবে তাই চ্যানেলে চলবে। তারপর আছে বাজেট সমস্যা। চাচা-দাদা-মামা-খালুর চরিত্রে আর্টিস্ট নিয়ে বাজেট বাড়িয়ে তো লাভ নেই। আর যদি নাটকের কাস্টিংয়ে ২/১ জন স্টার থাকে তাহলে তো বাজেটের অর্ধেক তারাই খেয়ে ফেলে। বলতে পারেন নাট্যকাররাও একটা চক্রের মধ্যে পড়ে গেছেন। এখন বাজেট কমানোর জন্য নাটকে মা-বাবার চরিত্র থাকলে ফেলে দেওয়া হয়।

রিপোর্টার:আজকাল অনেক নাটকে দেখা যায় একই গ্রামের মানুষ আলোচনা করছে, কিন্তু একেকজন কথা বলছে একেক জেলার ভাষায়। এর কারণ কী?

পরিচালক:আপনি তো গ্রামের কথা বলছেন। একই পরিবারের দুই ভাই মায়ের সঙ্গে কথা বলছে, অথচ ৩ জনের তিন ভাষা। মায়ের এক ভাষা, দুই সন্তানের দুই ভাষা। এটাও একটা ভেরিয়েশন।

রিপোর্টার:এটা কিভাবে সম্ভব?

পরিচালক:এখনকার নাটকে সবই সম্ভব। এক সময় বলতো না ফিলিমের গরু গাছে চড়ে। এখন কিছু কিছু নাটকের গরুও গাছে চড়ে। আর সেজন্যই তো ঘরে ঘরে রিমোটের কদর বেড়ে গেছে।

রিপোর্টার:কিন্তু এ থেকে উত্তরণের উপায় কী?

পরিচালক:উপায় যাদের হাতে তারা তো মান না মানির কাছে নিরূপায়। চানাচুর বা ক্রিম ব্যাপারিরা এখন ঠিক করে আপনার পর্দায় কি চলবে। ওনারাই এখন সংস্কৃতির মুরুব্বি।

গতির অভাবে অসঙ্গতির প্রভাবে নাটকের স্বভাবে যে ভাব ধারণ করেছে তার জবাব খুঁজতেই এই প্রতীকী সাক্ষাত্কার। না টক, না মিষ্টি, না মিষ্টি সৃষ্টিতে কোনো অসুবিধা না থাকলেও না টক অর্থাত্ নাটক সৃষ্টিতে দৃষ্টিগ্রাহ্য অনেক অসুবিধার সৃষ্টি হয়েছে কৃষ্টিহীনতার কারণে। রিপোর্টার ও পরিচালকের আলোচিত বিষয়গুলো সবার জ্ঞাত। এখনকার নাটকের মূল সমস্যা মৌলিক চিন্তার অভাব। এখন থেকে ১০/১২ বছর আগে পারিবারিক গল্প নিয়েই বেশিরভাগ টিভি নাটক হতো।

এই নাট্যাংশে পরিচালক আক্ষেপ করে এজেন্সি সম্পর্কে যা বললেন কথাটি আসলেই ঠিক। চ্যানেলের কর্তারা এখন চ্যানেলের মান নিয়ন্ত্রণ করেন না। ক’দিন আগে একটি টিভি চ্যানেলের মালিকের সঙ্গে ঈদের অনুষ্ঠান এবং এর প্রচার সময় নিয়ে কথা হচ্ছিল। কারণ বিশ্বকাপের মৌসুম, তাই প্রচার সময়ও গুরুত্বপূর্ণ। সময় বুঝে অনুষ্ঠান প্রচার করা প্রয়োজন। কিন্তু তিনি আমার এত কথা শোনার পর যে উত্তর দিলেন তা শুনে তো আমি থ। অনুষ্ঠানের প্রচার সময় নিয়ে তার কোনো মাথাব্যথা নেই। কারণ তাদের সকল অনুষ্ঠানই এজেন্সিকে দিয়ে দেওয়া হয়েছে। সুতরাং কখন কোন অনুষ্ঠান প্রচার হবে সেটা তাদের দেখার বিষয় নয়, কারণ ঈদের ক’দিন প্রচারের জন্য এজেন্সির সঙ্গে অর্থ প্রাপ্তির চুক্তি আগেই হয়ে গেছে।

অথচ এই অযাচিত বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের কারণে নাটকের বিষয়, আবেগ, অনুভূতি সাংঘাতিকভাবে আক্রান্ত হচ্ছে। তারপর আবার নানা ঢংয়ের, নানা আকৃতির বিজ্ঞাপন যেমন—এল সেপ, পপ আপ ইত্যাদি জাতীয় বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের কারণে টিভিপর্দায় নাটকের দৃশ্যও এল আকৃতির হয়ে যায়। কখনো বা দৃশ্য টিভিপর্দার কোনায় চলে যায়, আবার লাফ দিয়ে সামনে চলে আসে। এসব দেখে প্রশ্ন জাগে, আসলে এরা দর্শকদের কি দেখাতে চায়। স্পন্সর, টাইটেল স্পন্সর, ব্রান্ডিং, স্ক্রল, কাউন্টডাউন, পপ আপ, এল পপ আপ নাকি অনুষ্ঠান?

এখন কিছু কিছু চ্যানেল এবং নির্মাতা আছে, যারা যখন যে চ্যানেলে যে নামে যে অনুষ্ঠানই করুক না কেন, দর্শকদের আর বিচার করতে হয় না। নিজেরাই বলে দেন, ‘আমিই সেরা’, কিন্তু যত গর্ব করেই তারা তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলুক না কেন, দর্শকদের রিমোট প্রীতিই বলে দেয় তাদের সর্বনামেই খর্বনাম।