কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ সড়কের সংস্কার কাজ ঈদের আগেই শেষ

দীর্ঘ খানাখন্দক সৃষ্টি হওয়া কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়ক ঈদের আগেই পুরো সচল হতে যাচ্ছে। আর এতে উভয় জেলার মানুষেরা দারুন খুশি। ইতিমধ্যে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের কুষ্টিয়া অংশের সংস্কারকাজ প্রায় শেষ। দীর্ঘদিন পর বেহাল সড়ক ক্ষত কাটিয়ে আগের স্বাভাবিক রূপে ফিরেছে। পুরো সড়কটি এখন চকচকে। এতে জনমনে স্বস্তির পাশাপাশি দেশের উত্তর-দক্ষিনাঞ্চলের যোগাযোগের ক্ষেত্র বড় একটি অন্তরায় আপাতত দুর হলো। সেই সাথে যানজট না থাকলে এবারের ঈদযাত্রা স্বস্তি হবে বলে দাবি এলাকাবাসীর।

এদিকে, কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী মহাসড়কের কাজ চলমান। সড়কটি সচল হতে আরও কয়েক মাস সময় লাগবে। কুষ্টিয়া শহরের ব্যস্ততম মজমপুর গেটকে যানজট ও দুর্ঘটনামুক্ত করতে সড়ক প্রশস্ত করা হচ্ছে। সেই সাথে ট্রাফিক বক্স সরিয়ে নতুন করে নির্মাণ করার পাশাপাশি তিনটি ডিভাইডার নির্মাণ করা হবে। ঈদের আগেই এসব সংস্কারকাজ শেষ হবে। গত বছরের বর্ষায় কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী ও কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী মহাসড়কের কুষ্টিয়া অংশে বেশির ভাগ স্থানে বড় বড় গর্ত তৈরি হয়। একটা সময় সড়ক চলাচলের একেবারেই অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এরপর সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তাদের প্রচেষ্টায় বরাদ্দ মেলে। টেন্ডারের পর প্রায় দুই মাস আগে কাজ শুরু করেন ঠিকাদার। কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের মজমপুর গেট থেকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত কাজ শুরু হয়। ইতোমধ্যে এসব সড়কের কাজ প্রায় ৯৫ ভাগ শেষ হয়েছে। যেসব স্থানে বেশি খারাপ ছিল সেখানকার পিচ উঠিয়ে নতুন করে সড়ক সংস্কার করা হয়েছে। বর্তমানে শহরের মজমপুর গেটে সড়ক সংস্কারের কাজ চলছে। মজমপুর গেটের আগে বারবার সড়ক সংস্কার করেও যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ ও নকশার ভুলের কারণে সড়ক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তবে এবার সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে নতুনভাবে। এতে মজমপুর গেটে ট্রাফিক অফিসের সামনের সড়কে উভয়পাশে সড়ক চওড়া হচ্ছে। আগের রাস্তার সাথে উভয় পাশে ১৫ ফুট সড়ক নতুন করে তৈরি হচ্ছে। এছাড়া ট্রাফিক বক্স সরিয়ে ১৫ ফুট দূরত্বে বসানো হচ্ছে।

কুষ্টিয়া সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম জানান, মজমপুর গেটের বাকটি ৯০ ডিগ্রি এঙ্গেলে ছিল। যার কারণে ঈশ্বরদী থেকে শহরে ঢোকা যানবাহনগুলো বাক নিতে গেলে সড়কে বড় ধরনের চাপ পড়তো। এছাড়া পর্যাপ্ত জায়গা পেতেও সমস্যা হতো। এ কারণে এ ঠিকাদারকে অনুরোধ করে এখানে নতুন করে কিছুটা বাড়তি সড়ক নির্মাণ করানো হচ্ছে। এতে মজমপুর গেটে ডিভাইডার ভেঙে নতুন করে নির্মাণ করা হবে। এখন একটি ডিভাইডার থাকলে নতুন ডিজাইন অনুযায়ী তিনটি ডিভাইডার হবে। এতে ছোট গাড়িগুলো পৃথক ডিভাইডার দিয়ে চলবে। আর ট্রাফিক বক্স সরিয়ে পশ্চিমে ১৫ ফুট দূরত্বে স্থাপন করা হবে। এতে সব পাশেই সমান জায়গা থাকবে। যানবাহন আশা-যাওয়া করতে কোনো দুর্ঘটনায় পড়বে না।

প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম জানান, কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের কুষ্টিয়া অংশের সংস্কারকাজ প্রায় শেষ। সড়কের কাজ পুরোপুরি শেষ হলে আগামী তিন বছর বড় ধরনের কোনো সমস্যায় পড়বে না সাধারণ মানুষ। এই অংশের কাজ শেষ হওয়ায় জনমনে স্বস্তি ফিরেছে।

কুষ্টিয়া জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি আজগর আলী জানান, সড়ক নিয়ে আমরা খুবই টেনশনে ছিলাম। আপাতত একটি অংশের কাজ শেষ হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ হয়েছে। এতে সাধারণ মানুষ খুশি। আর কাজের মান দেখার জন্য একটি কমিটি করা হয়েছিল। সেখানে আমরা বেশ কয়েকজন ছিলাম। সব দিক দিয়ে কাজের মানও বেশ ভালো হয়েছে।