আমরা ঋণ করে ঘি খাইনি : সংসদে কৃষিমন্ত্রী

কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী বিদ্যুৎ খাতে অতিরিক্ত বরাদ্দ চাওয়ার যৌক্তিকতা তুলে ধরে বলেছেন, ৩ হাজার ২শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ নিয়ে আমরা শুরু করেছিলাম। এখন বিদ্যুৎ উৎপাদন ১১ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন বেড়েছে বলে কলকারখানার সংখ্যা বেড়েছে। তিনি বিদ্যুৎ ব্যবহারে সচেতন হতে সকলের সহযোগিতা কামনা করি।

আজ সোমবার সংসদে সম্পূরক বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় ও খাবারের ব্যবস্থা করতে, গত বছর সুনামগঞ্জের হাওড়ে অকাল বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা প্রদানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় এই খাতে অতিরিক্ত বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। বিশ্বব্যাপী জঙ্গিবাদ ও নৈরাজ্য বৃদ্ধি পাওয়ায় বাংলাদেশে জননিরাপত্তা বিধানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করছে। এ জন্য অতিরিক্ত খরচ মেটাতে বরাদ্দ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, সার্বিকভাবে সম্পূরক বাজেটে যে অতিরিক্ত বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে তা যৌক্তিক। আমরা ঋণ করে ঘি খাইনি, মানুষের কল্যাণে তা খরচ করা হয়েছে।

জাতীয় পার্টির সদস্য ফখরুল ইমাম বলেন, বাজেটে ব্যাংকের জন্য বরাদ্দ রাখা এবং আড়াই শতাংশ কর কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে, এটা ব্যাংকিং খাতে নৈরাজ্য আরো বেড়ে যাবে। ব্যাংকিং খাতকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে অর্থনীতিতে ধস নামবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

তিনি মুক্ত বাজার অর্থনীতির সমালোচনা করে বলেন, মুক্তবাজার অর্থনীতির ফলে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন হয়েছে। সুশাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে এটি একটি বাধা।

করের চেয়ে ভ্যাট বেশি আদায় করা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, খাদ্যদ্রব্য থেকে ভ্যাট আদায় ধনী-গরীবের মধ্যে বৈষম্য তৈরি করে। কারণ, একজন ধনী ব্যক্তি একটি পানীয় কিনে যে পরিমাণ ভ্যাট দেয়, তেমনি একজন গরীব লোকও ওই একই পানীয়ের জন্য একই পরিমাণ ভ্যাট দেয়। এতে ধনী-গরীবের বৈষম্য তৈরি করে।

জাতীয় পার্টির সদস্য রওশন আরা মান্নান ও সেলিম উদ্দিন আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।