সৌদি ফেরত ২২ নারীকর্মীকে লাখ টাকা করে আর্থিক সহায়তা

ব্র্যাকের জরুরি সহায়তা কার্যক্রমের উদ্যোগে যুক্ত হয়েছে লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এলএফএমইএবি)। ব্র্যাক ও এলএফএমইএবির যৌথ উদ্যোগে সৌদি আরব ফেরত ২২ জন নারীকে এক লাখ টাকা করে এককালীন অনুদান দেয়া হয়েছে।

সোমবার মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টারে আয়োজিত এক আনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক এসব চেক হস্তান্তর করেন। সহায়তা ছাড়াও ৫০ জন বিদেশ ফেরত ভুক্তভোগী নারীর প্রশিক্ষণ প্রদান করে চাকরিপ্রাপ্তিতে সহায়তা করা হবে।

কাজী রিয়াজুল হক বলেন, সৌদি আরবে গিয়ে নির্যাতনের শিকার হয়ে দেশে ফিরে আসা নারীকর্মীদের সহায়তা দিতে জরুরি সহায়তা কর্মসূচি নিয়েছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক। এর আওতায় অসহায় নারীদের বাড়ি যাওয়ার খরচ, সাময়িকভাবে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা, জরুরি স্বাস্থ্যসেবা, মনোসামাজিক কাউন্সেলিং ও প্রয়োজনীয় সেবা দেয়া হচ্ছে। তবে ফেরত আসা এসব নারীদের অর্থনৈতিক স্বাবলম্বী জরুরি। ব্র্যাক যে কাজটি করছে এটিও খুব জরুরি ছিল।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এলএফএমইএবির সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, এক সময় ইন্দোনোশিয়া, ফিলিপাইনের মতো দেশ মধ্যপ্রাচ্যে প্রচুর নারীকর্মী পাঠাত। শিকার হতেন পাশবিক নির্যাতনের। নানা সমস্যর পর সম্মানের দিক চিন্তা করে তারা নারীকর্মী প্রেরণ বন্ধ করে দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে সৌদি আরবে যারা আছেন তারা নাকি সবাই নির্যাতিত। বেতন নেই, খাবার নেই, অনেকে পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়ে সামান্য পুরান কাপড়ে, পলিথিন নিয়ে দেশে ফিরেছেন। আমরা প্রাথমিকভাবে ৭২ জনকে সহায়তা করেছি। বাকিদেরও পর্যায়ক্রয়ে সহায়তা প্রদান করা হবে।

ব্র্যাক মাইগ্রেশন হেড শরিফুর হাসান বলেন, সুখের আশায় সৌদি গিয়ে সেখানে বেতন পাচ্ছেন না, উল্টো তাদের কপালে মিলছে নির্যাতন নিপীড়ন। সৌদি আরব থেকে নির্যাতিত হয়ে দেশে ফেরা এসব নারীদরে সংখ্যা বাড়ছেই। এসব বর্ণনা শুনে আপনারা স্থির থাকতে পারবেন না। গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত তিন বছরে প্রায় পাঁচ হাজার নারী দেশে ফেরত এসেছে। এর মধ্যে অন্তত এক হাজার নারী ফিরেছেন এ বছরই।

তিনি আরও বলেন, চলতি বছরের মে থেকে ১০ জুন পর্যন্ত শুধু সৌদি আরবের রিয়াদের ইমিগ্রেশন ক্যাম্প থেকে ৩৬০ জন নারীকর্মী দেশে ফিরেছেন। আমাদের প্রত্যাশা সরকার আর কোনো নারীকর্মীকে সৌদি পাঠাবেন না।