রাজধানীতে প্রাইভেটকারে তুলে এক তরুণীকে ধর্ষণের সময় জনতার হাতে আটক মাহমুদুল হক রনিকে (৩৫) শেরেবাংলা নগর থানা থেকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।ধর্ষণ মামলায় রনিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেছে পুলিশ।সোমবার বেলা সোয়া ১১টায় শেরেবাংলা নগর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, অভিযুক্ত মাহমুদুল হক রনিকে সকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আটকের সময় ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাওয়া গাড়ির চালক ফারুককে গ্রেফতারসহ ঘটনার বিষয়ে আরও তথ্য জানতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রনির সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, শনিবার দিবাগত রাত ৩টায় কলেজগেট সিগন্যালে প্রাইভেটকারের (ঢাকা মেট্রো- গ ২৯-৫৪১৪) ভেতরে এক তরুণীকে ধর্ষণকালে মদ্যপ রনি ও গাড়িচালক ফারুককে আটক করে জনতা।এ সময় রনি ও ফারুককে ব্যাপক মারধর করে জনতা। একপর্যায়ে ফারুক বিবস্ত্র অবস্থায় ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। অন্যদিকে রনিকে শেরেবাংলা নগর থানার পুলিশের কাছে সোপর্দ করে জনতা।
রোববার ভোররাত সাড়ে ৩টার দিকে রাফি আহমেদ নামে একজন ওই ঘটনার বিবরণসহ একটি ভিডিওচিত্র সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করলে তা ভাইরাল হয়ে যায়।এর পর রোববার দুপুর পর্যন্ত রনিকে আটক ও ধর্ষণের ঘটনায় ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলছিল না ওই থানার পুলিশ।
অন্যদিকে রাফি আহমেদকে মোবাইল ফোনে বারবার হত্যার হুমকি দেয় অভিযুক্ত রনির ঘনিষ্ঠজনরা। এর পর রাফি ফেসবুক থেকে তার স্ট্যাটাস ও ভিডিও মুছে ফেলেন।তবে দৈনিক যুগান্তরে কলেজগেটের ওই ঘটনায় অভিযুক্ত রনির নামপরিচয়সহ প্রতিবেদন প্রকাশের পর দুপুর আড়াইটার দিকে শেরেবাংলা নগর থানার পুলিশ ঘটনার কথা নিশ্চিত করেন।
এ সময় ওসি গণেশ গোপাল (জিজি) বিশ্বাস জানান, আটক রনিকে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। যে তরুণীকে ধর্ষণচেষ্টা করা হয়েছিল তাকে পুলিশ খুঁজছে। তাকে পাওয়ার পর রনির বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।পরে রোববার রাতে রনির গাড়িতে থাকা দুই তরুণী শেরেবাংলা নগর থানায় এসে হাজির হন। এর মধ্যে ২১ বছরের এক তরুণী নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন।
মামলায় রনির বিরুদ্ধে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে এবং তার গাড়িচালক ফারুকের বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহায়তার অভিযোগ করেন।মামলার পর দুই তরুণীকে পুলিশের নিরাপত্তা হেফাজতে নিয়ে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে পাঠানো হয়।