ঈদে দেশে না থাকলেও থাকবেন ১৮টি নাটকে

তারকা অভিনেতা আনিসুর রহমান মিলন। মিডিয়ার সব সাঁকোতেই তার সরব বিচরণ। বর্তমানে ব্যস্ত ঈদের কাজ নিয়ে। তবে কয়েক দিনের মধ্যেই শেষ হবে সেই ব্যস্ততা। জানালেন অভিনেত নিজেই।

তার পর পরই পাড়ি জমাবেন সুদূর আমেরিকায়। এবার মিলনের ঈদ কাটবে সেখানেই। স্ত্রী ও সন্তানের সঙ্গে সময়টা কাটতে চান।

মিলন বলেন, “কয়েকদিনের মধ্যেই ঈদের কাজগুলো শেষ হবে। তার পর পরই আমেরিকায় যাবো। ফিরবো জুলাইয়ে। সেখানে আমার স্ত্রী ও সন্তান থাকে। তাদের সঙ্গে ঈদ করতে আমেরিকায় যাচ্ছি।

কাজের কারণে তাদের সময় দেয়া হয়ে ওঠে না। তাই ঈদের এই সময়টুকু তাদের সঙ্গেই কাটাতে চাই। ঈদের সময় দেশে না থাকলেও দর্শকরা আমাকে ঈদের নাটক-টেলিছবিতে দেখতে পাবেন।”

আসছে ঈদে এই অভিনেতাকে আঠারোটি নাটক ও দুটি টেলিছবিতে দেখা যাবে। টেলিছবি দুটি হলো চয়নিকা চৌধুরীর ‘রসিয়া’ ও তপু খানের ‘নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি’।
উল্লেখযোগ্য নাটকগুলো হলো আবু হায়াত মাহমুদের ‘লাভলী কথাচিত্র’, চয়নিকা চৌধুরীর ‘বিয়ের শাড়ি’, ফিরোজ কবির ডলারের ‘জিনের বাদশা’, অর্ক মাহমুদের ‘ছায়া সংশয়’। এছাড়া আরো দেখা যাবে হানিফ সংকেত, সকাল আহমেদসহ অনেক জনপ্রিয় নির্মাতার নাটকে।

ঈদে এবার এই অভিনেতাকে কেমন গল্পের নাটকে দেখা যাবে? মিলন বলেন, “এবার আমি কমেডি, সিরিয়াসসহ বেশ কিছু নতুন চরিত্রে অভিনয় করেছি। এর মধ্যে একটি নাটকে আমাকে দেখা যাবে ফিল্মের পরিচালকের চরিত্রে। এমন চরিত্রে আমি আগে অভিনয় করিনি।

আরেকটি নাটকে অভিনয় করেছি ওল্ড টাউনের এক ফ্যাশনপ্রিয় ছেলের চরিত্রে। যে প্রেমে পড়ে সব কিছু উজাড় করে দেয়। একটি নাটকের গল্পের সঙ্গে অন্য নাটকের মিল নেই। প্রতিটি নাটকে নতুনত্ব দেখেছি।”

ঈদে দেশের বিভিন্ন চ্যানেলে প্রায় ছয় শতাধিক নাটক প্রচার হবে বলে জানা যায়। একজন অভিনেতা হিসেবে এই সংখ্যাকে কিভাবে দেখছেন? উত্তরে তিনি বলেন, “সংখ্যায় এটি অনেক। আমাদের একটি ঈদে এত নাটক প্রচারের কোনো মানে হয় না।

সর্বোচ্চ দেড়শ’ নাটক প্রচার করলে আমি ভালো মনে করি। চ্যানেলগুলো ছয়শ’ নাটকের বাজেট যদি দেড়শ’ নাটকে দিতো তাহলে আমাদের অনেক ভালো ভালো কাজ হতো। নাটকের মান নিয়ে প্রশ্নের মুখোমুখি হতাম না।”

সম্প্রতি তিনি আরিফুর জামানের ‘কাঠগড়ায় শরৎচন্দ্র’ শিরোনামের একটি ছবির শুটিং শুরু করেছেন। এই ছবিতে তিনি অভিনয় করছেন গহর নামের চরিত্রে।