বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গত ৫ জুন কারাগারে মাথা ঘুরে পড়ে গিয়েছিলেন। খালেদা জিয়ার আত্মীয়ের বরাত দিয়ে শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য দিয়েছেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এই অবস্থায় বেগম জিয়ার উন্নত চিকিৎসার দাবি জানিয়ে দলের পক্ষ থেকে আগামী ১০ জুন রবিবার রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে প্রতিবাদ কর্মসূচির ঘোষণা করা হয়েছে।
বিএনপি এবং এর অঙ্গসহযোগী সংগঠনের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীকে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালনের জন্য দলের পক্ষ থেকে আহ্বানও জানান রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার নিকটাত্মীয়রা তার সঙ্গে কেন্দ্রীয় কারাগারে সাক্ষাতের জন্য গিয়েছিলেন। সাক্ষাৎ শেষে তারা দেশনেত্রী সম্পর্কে যে বর্ণনা দেন তা শুধু মর্মস্পর্শীই নয়, হৃদয়বিদারক। সরকারের জিঘাংসার কশাঘাতের তীব্রতা যে কত ভয়াবহ সেটি বোঝা যাবে শুধুমাত্র তার প্রতি অমানবিক আচরণের মাত্রা দেখলেই।
তিনি আরও বলেন, নিকটাত্মীয়রা বলেছেন ৫ জুন খালেদা জিয়া দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় মাথা ঘুরে পড়ে গিয়েছিলেন। তিনি তিন সপ্তাহ ধরে ভীষণ জ্বরে ভুগছেন, যা কোনোক্রমেই থামছে না। চিকিৎসাবিদ্যায় যেটিকে বলা হয় টিআইএ (ট্রানজিয়েন্ট স্কিমিক অ্যাটাক)। দেশনেত্রীর দুটো পা এখনও ফুলে আছে এবং তিনি শরীরের ভারসাম্য রাখতে পারছেন না।
রিজভী চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলেন, খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে তিনি যে কথাগুলো বলছেন তা সম্পূর্ণরূপে সত্য। তার অসুস্থতা নিয়ে ইতিপূর্বেও যে কথাগুলো বলা হয়েছে তা নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ হলে তার স্বাস্থ্যের এতটা অবনতি হতো না। সরকারের ইচ্ছাকৃত অবহেলা ও উদাসীনতার কারণে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। এতে মনে হয় সরকার এবং সরকার প্রভাবিত প্রশাসনযন্ত্র দেশনেত্রীকে নিয়ে কোনো গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।
এদিকে, বিকালে খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার পরিবারের সদস্যরা দেখা করেছেন। বিকাল সোয়া ৪টার দিকে তারা পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রবেশ করে পৌঁনে ৬টার দিকে বের হন। এ সময়ে তারা কারও সঙ্গে কথা বলেননি। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ছিলেন- খালেদা জিয়ার ভাই শামীম এস্কান্দার, তার স্ত্রী কানিজ ফাতেমা, তাদের দুই ছেলে অভিক এস্কান্দার, অরিক এস্কান্দার ও ভাগনে ডা. মামুন।
ব্রেকিংবিডিনিউজ২৪ / ০৯ জুন ২০১৮ / তানজিল আহমেদ |