বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ তৈরির প্রস্তুতি শুরু

শান্তিনিকেতন সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘না বলা কথা’ সংসদে বলতে অনুরোধ করলে তিনি বলেন, আমি শুধু এটুকু বলব, না বলা কথা রবে না গোপনে।

বুধবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে ময়মনসিংহ-৮ আসনের সংসদ সদস্য ফখরুল ইমামের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকের শুরুতে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।

শান্তি নিকেতনে রোহিঙ্গা সংকট এবং তিস্তা চুক্তিসহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে বৈঠকের পর ভাষণে শেখ হাসিনা বলেছিলেন, দুই দেশের মধ্যে বহু সমস্যার সমাধান হয়েছে। কিছু সমস্যা এখনো অমিমাংসিত রয়ে গেছে। তবে সেসব বিষয় তুলে এই সুন্দর অনুষ্ঠানকে ম্লান করতে চাই না।

প্রধানমন্ত্রীর এ উক্তি উল্লেখ করে ফখরুল ইমাম বলেন, কিছু না বলেই অনেক কিছু বলে গেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। এই না বলা কথা কি শুনতে পারি? এটা কিন্তু গোপন তথ্য নয়। তখনই রসিকতার সুরে এ জবাব দেন প্রধানমন্ত্রী।

**** বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ তৈরির প্রস্তুতি শুরু হয়েছে****

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, একেকটি কৃত্রিম উপগ্রহের আয়ুষ্কাল থাকে ১৫ বছর। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১’এরও সেই সময় চলে আসবে। এজন্য এখন থেকেই বঙ্গবন্ধু-২ তৈরির প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।

কৃত্রিম উপগ্রহ তৈরি একটি সময় সাপেক্ষ ব্যাপার উল্লেখ করে তিনি বলেন, একেকটি স্যাটেলাইট তৈরি করতে ৫/৬ বছর সময় লেগে যায়। যেহেতু পনেরো বছর এটির আয়ুষ্কাল, সেহেতু ৫/৬ ব্যবহারের পর সেটির আয়ু ক্ষয় হতে থাকে।

তাই কোনোরকম সমস্যা যেন সৃষ্টি না হয় এবং একটা গেলে যেন আরেকটা সাথে সাথে চালু হয়ে যেতে পারে, সেটি মাথায় রেখেই আমরা ইতোমধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে চায়। যখন নতুন যে প্রযুক্তি আসবে, সেটা যেন আমরা ধারণ করতে পারি, সেটা নিয়ে গবেষণা করতে পারি এবং সেটা যেন ব্যবহারোপযোগী হয়, সেই কাজই আমরা করব।

***** অর্বাচীন, অজ্ঞ বিএনপির স্যাটেলাইট নিয়ে দুঃখ কেন *****

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ দুই ব্যক্তির মালিকানা- বিএনপির এমন অভিযোগের প্রসঙ্গ সংসদে তুললে এর জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেতারা ‘অর্বাচীন’, ‘অজ্ঞ’। শেখ হাসিনা প্রশ্ন রেখেছেন, দেশবাসী যখন এ বিষয়ে উদ্বেলিত, তখন বিএনপির মনে দুঃখ কেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্যাটেলাইটের মালিকানা অবশ্যই বাংলাদেশের এবং বাংলাদেশ সরকারই এর মালিক। …যারাই ভাড়া নেবে, যেটুকু সে ভাড়া নেবে, সেটুকুর সে মালিক হবে তারা। দুটি ব্যক্তি তো এটার মালিক হতে পারে না। এই ধরনের মন্তব্য করাটা অত্যন্ত লজ্জাজনক।

স্যাটেলাইটটির ৪০টি ট্রান্সপন্ডার আছে এবং বাংলাদেশের ব্যবহারের জন্য ২০টি যথেষ্ট বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। জানান, বাকিগুলো সার্কভুক্ত দেশ, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, তাজাখস্তান, উজবেকিস্তান, তুর্কমেনিস্তানে ভাড়া দেয়া যাবে।

দুই ব্যক্তি এটার মালিক কীভাবে হলো, এটা আমি বলতে পারব না। এ ধরনের কথা তারা কেন বললেন?