শিল্পকলায় শ্রেয়সী রায়ের সঙ্গীতানুষ্ঠান

সঙ্গীতানুষ্ঠান হোক, আবৃত্তির অনুষ্ঠান হোক আজকাল অধিকাংশ অনুষ্ঠানেই বক্তৃতার জন্য মূল অনুষ্ঠানই হারিয়ে যায়। কিন্তু সেদিক থেকে ব্যতিক্রম ছিল গত ২০ এপ্রিল রবীন্দ্রসঙ্গীতশিল্পী শ্রেয়সী রায়ের ‘তুমি আমার চিরকালের’ গানের সন্ধ্যাটি। দর্শক-শ্রোতাদের আমন্ত্রণ জানান শিল্পী ‘তুমি সন্ধ্যার মেঘমালা’ এই গানের মধ্য দিয়ে। এরপর শিল্পী একে একে গেয়ে শোনান আজি গোধুলী লগনে, রাখো রাখোরে, সুখহীন নিশিদিন, চক্ষে আমার তৃষ্ণা, যে রাতে তোমার, তুমি তো সেই, তোমায় নতুন করে, ওহে জীবন বল্লভ, না চাহিলে যারে, কৃষ্ণকলিসহ মোট ১৬টি গান। রবীন্দ্রনাথের বিভিন্ন রাগের আলোকে রচিত ১৬টি গান নিয়ে সাজানো হয়েছিল পুরো সঙ্গীতসন্ধ্যা।

শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে অভ্যুদয় সঙ্গীত অঙ্গন সংগঠনের আয়োজনে ছিল এই সঙ্গীতানুষ্ঠান। মূলত এ সংগঠনের দশম বর্ষপূর্তিতে বছরব্যাপী নানা আয়োজনের ধারাবাহিকতায় শিল্পী শ্রেয়সী রায়কে নিয়ে একক এই অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।

বাবা সঙ্গীতজ্ঞ শিল্পী অজিত রায়ের তত্ত্বাবধানে রবীন্দ্রসঙ্গীতের আবহে শিল্পী শ্রেয়সী রায়ের বেড়ে ওঠা। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬টি গানের সঙ্গে যন্ত্রানুষঙ্গে ছিলেন তবলায় সবুজ আহমেদ, বেহালায় শান্ত আহমেদ, বাঁশিতে কামরুল আহমেদ, কি-বোর্ডে নিখিলেশ বড়ুয়া, মন্দিরায় মো. ফারুক হোসেন। অভ্যুদয়ের সদস্য সেঁজুতি দের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠান শেষে আলাপচারিতায় শিল্পী শ্রেয়সী রায় বলেন, ‘ছোটবেলায় বাবার হাত ধরে বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতে যেতাম। বাবা গান শেখাতেন। আমি বসে থাকতাম আর নাচের ক্লাসে উঁকি দিতাম। যখন তৃতীয় বা চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ি তখন আমার গানের হাতেখড়ি হয় বিপুল ভট্টাচার্যের কাছে। আর এভাবেই সঙ্গীত চর্চা শুরু।’ শ্রেয়সী আরো বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথের গান ও কবিতা সঙ্গটের সময় সাহস ও শক্তি জোগায়। জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে রবীন্দ্রনাথকে এ কারণে প্রাসঙ্গিক মনে হয়। কখন যে তিনি হূদয়ে স্থান করে নিয়েছেন আমি বলতে পারবো না। বাবাই আমাকে বুঝতে শিখিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথকে। এখনো প্রতিদিন সকালে চোখ খুললেই যেন মনের ভেতরে অনুরণিত হয়ে ওঠে বাবার গানগুলো।’