ঘটনাটি ঘটেছে চাঁদপুরে। সেখানে মহিলা আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং চাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজের সাবেক ভিপি ও চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ গল্লাক আদর্শ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ শাহিনা সুলতানা ফেন্সির (৫৭) মৃত দেহ উদ্ধার করে হয়েছে।
০৪ জুন সোমবার রাত আনুমানিক ১০টার দিকে এই হত্যাকাণ্ডটি করা হয়। শহরের ষোলঘর পাকা মসজিদের দক্ষিণ পাশে নিজস্ব বাসভবনে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের ভাই ফোরকান গণমাধ্যমকে জানান, মানুষের কাছে খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে আসেন। এসে তার বোনকে ঘরের মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। তার মাথায় আঘাতের চিহ্ন ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তমাখা ছিলো।
রাত ১টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ, জেলা গোয়েন্দা পুলিশ, পুলিশ ইনভেস্টিকেশন অব ব্যুরো (পিআইবি), চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগ এর সিনিয়র নেতৃবৃন্দ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন।
নিহত ফেন্সির স্বামী অ্যাডভোকেট জহিরুর ইসলামের গ্রামের বাড়ী চাঁদপুর সদর উপজেলার মৈশাদী ইউনিয়নের শিলন্দিয়া গ্রামের মিয়াজী বাড়ী। তার বাবা মৃত মো. নুরুল ইসলাম মিয়াজী। তিনি চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক ও চাঁদপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি।
জানা গেছে, অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম কয়েক বছর আগে দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন। ওই স্ত্রীর নাম জুলেখা। বিয়ের পর থেকে তিনি তার প্রথম স্ত্রী ফেন্সীকে শারিরীক নির্যাতন করতেন।
এ ব্যাপারে চাঁদপুর মডেল থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়ালী উল্লাহ ওলি জানান, আমরা মরদেহ দেখে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি ওই নারীর মাথায় প্রচণ্ড আঘাতের কারণে মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে কে বা কারা জড়িত এখনো জানতে পারেনি। তবে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার স্বামী অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলামকে আটক করা হয়েছে।