আনজামের স্বীকৃতি

জনপ্রিয় উপস্থাপক আনজাম মাসুদ এবার তার কাজের জন্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছেন। গত ২ জুন কলকাতার রবীন্দ্র সরোবরের নজরুল মঞ্চে তাকে এই পদক প্রদান করা হয়। ‘টেলি সিনে অ্যাওয়ার্ডের ১৭ বছরের ইতিহাসে এবারই প্রথম উপস্থাপনা ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠ উপস্থাপকের অ্যাওয়ার্ড দেয়া হলো। বাংলাদেশে টিভি অনুষ্ঠান উপস্থাপনার ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখায় ‘বেস্ট প্রেজেন্টার অব দ্য ইয়ার’ হিসেবে আনজাম মাসুদ এই সম্মাননা লাভ করেন। প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক এই স্বীকৃতিতে ভূষিত হয়ে আনজাম মাসুদ বলেন, ‘ধন্যবাদ টেলি-সিনে অ্যাওয়ার্ড সোসাইটিকে আমাকে এমন একটি সম্মাননায় ভূষিত করার জন্য। এই স্বীকৃতি বাংলাদেশের অর্জন বলেই আমি মনে করি। টেলি সিনে অ্যাওয়ার্ড দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে এই সম্মাননা দিয়ে আসছে। আমার মতো একজন অতিসাধারণ মানুষকে উপস্থাপক হিসেবে শ্রেষ্ঠত্বর পুরস্কার দেয়ায় আমি সত্যিই আনন্দিত, গর্বিত। এই অনুভূতি সংক্ষেপে বলে বোঝানোর মতো নয়। আমার এই আন্তর্জাতিক প্রাপ্তি আমার অগ্রজ যারা আছেন, তাদের সবাইকে সানন্দে উৎসর্গ করলাম। আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন যাতে এই পেশায় আরো ভালো করতে পারি।’ ১৯৯৬ সাল থেকে উপস্থাপক হিসেবে কাজ করছেন আনজাম মাসুদ। সে সময় প্রথম বিটিভিতে ‘বিদ্যাঙ্গন’ নামের একটি অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করতেন। এরপর একই চ্যানেলে ‘আজকাল’ নামক একটি অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা করতেন। পরবর্তীতে এটিএন বাংলায় ‘এক দুই তিন’ এবং ‘আজ কাল পরশু’রও উপস্থাপনা করেন। বিটিভির টানা ছয়টি ‘আনন্দ মেলা’র উপস্থাপক ছিলেন তিনি। দীর্ঘ ২৪ মাস যাবত বিটিভিতে প্রচার হচ্ছে তার পরিকল্পনা, গ্রন্থনা, উপস্থাপনা ও নির্দেশনায় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘পরিবর্তন’। উপস্থাপনার জন্য পুরস্কার হিসেবে সর্বোচ্চ চারবার বাচসাস পুরস্কার’সহ বিসিআরএ, সিজেএফবি, বাবিসাস, শেরে বাংলা স্বর্ণপদক’সহ আরো বিভিন্ন সংগঠনের পুরস্কার পেয়েছেন আনজাম মাসুদ। তার গ্রামের বাড়ি গাজীপুরে কামারিয়া গ্রামে। বাবা মৃত আব্দুস সিদ্দিক মাস্টার ও মা আনোয়ারা বেগম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগ থেকে আনজাম মাস্টার্স করেন। ঈদের পরপরই তিনি ‘পরিবর্তন’-এর ২৫ তম পর্বের কাজ শুরু করবেন।
ছবি কৌশিক ম-ল