একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করেন এই তরুণী, বাড়ি রাজশাহী। থাকেন রাজধানীর মিরপুরে। পরিবারের সবার সঙ্গে গ্রামে ঈদ উদযাপন করবেন। কিন্তু মহাসড়কে যানজট আর সংস্কার হওয়ায় ট্রেনই যেনো তার শেষ ভরসা। তাই ট্রেনের টিকিটের জন্য লাইনে দাঁড়ানো। কিন্তু টিকিট নামের সোনার হরিণ কি মিলবে?
রোববার দুপুর ১২টা থেকে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে অপেক্ষা করছেন তিনি।
এখানেই সেরেছেন ইফতার ও সেহরি। উদ্দেশ্য একটি টিকিট। ২০ ঘণ্টা অপেক্ষার পর সোমবার সকাল ৮ টায় এলো সেই মাহিন্দ্রক্ষণ। মিলল তার সোনার হরিণ নামক সেই স্বপ্নের টিকিট।
এ প্রসঙ্গে তরুণী বলেন, টিকিট হাতে পাওয়ার পর আর ২০ ঘণ্টার কষ্ট মনে নেই। আমার মনে হচ্ছে একটু আগে আমি লাইনে দাঁড়িয়েছিলাম। টিকিট হাতে পেয়ে প্রচণ্ড আনন্দ লাগছে।
সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত টিকিট বিক্রি চলছে। অধিকাংশ ট্রেনের টিকিট ছাড়ার ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যেই শেষ হয়ে যায়। এদিকে আজ ১৩ জুনের অগ্রিম টিকিট দেয়া হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে কমলাপুর রেলস্টেশন ম্যানেজার সীতাংশু চক্রবর্তী জানান, অগ্রিম টিকিট বিক্রয়ে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কোনো ত্রুটি নেই। অত্যন্ত শৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে টিকিট বিক্রি হচ্ছে। টিকিট নিতে আসা যাত্রীদের একটা কথা মনে রাখতে হবে, রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ সীমিত টিকিট বিক্রি করছে।