হাস্যরসে পরিণত হচ্ছে ঢাকাই চলচ্চিত্রশিল্পী সমাজ! সামান্য ইফতার পার্টি নিয়ে ওমর সানী- জায়েদ খান পরস্পরকে দোষ দিচ্ছেন। ক্ষতিটা কার হচ্ছে। এই ইন্ডাস্ট্রির। দিনদিন চলচ্চিত্রশিল্পী সমাজ বিভাজিত হচ্ছে। এসব কথা ওপেন সেমিনার, টকশোতে বলছেন। কেন এই বিভাজন? এই প্রশ্নের জবাব কে জানেন?
সবচেয়ে বড় প্রশ্ন এখন শাকিব খানকে নিয়ে। শাকিব খান একাধিক ইন্টারভিউতে বলেছেন যে, অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে আমি এদেশে নিষিদ্ধ!’ এটা দিব্যলোকের মতো সত্য যে, বর্তমান চলচ্চিত্রের বাজারে শাকিব খানের মতো সফল তারকা নেই। কিন্তু দেশীয় ছবির শিডিউল থেকে ক্রমাগত তার নাম বাইরে চলে যাচ্ছে। তবে কি অদূর ভবিষ্যতে শাকিব খানের ছবি আমদানিকৃত ছবি পদ্ধতিতেই দেখবে দর্শকরা।
দীর্ঘদিন শাকিব খানের সাথে এই মতবিরোধ বা একাধিক গ্রুপিংয়ের ফলে রুগ্ন থেকে রুগ্নতর হয়ে উঠছে ইন্ডাস্ট্রি! ওপার বাংলায় কি শাকিব খানই প্রথম কাজ করছেন।
সম্প্রতি আশিকুর রহমানের ‘সুপার হিরো’ ছবিটি মুক্তি নিয়েও নানা জটিলতা দেখা গেছে। সাধারণ দর্শকরা কিন্তু সমিতি বা সংগঠনের সংবিধান মুখস্থ করে ছবি দেখতে আসেন না। তাই বিষয়গুলো জরিমানা বা আলোচনা সাপেক্ষে হলেও ছবি রিলিজ ব্যাহত হলে ১২০০-৮০০-৩০০ এই অবনতির দিকে হল সংখ্যা নামবে।
শাকিবের প্রশ্ন, আমার ছবি নিয়ে যত সমস্যা, কেন? এখানে আমার কিন্তু কোনো ক্ষতি নেই। ব্যক্তিগতভাবে আমি শিল্পী হিসেবে আমার কাজটি করে যাচ্ছি। কিন্তু আজ সুপার হিরো বন্ধ করতে হবে। কোনো এক বেনামি প্রতিষ্ঠান অভিযোগ দেবে, সেই প্রেক্ষিতে।
হ্যাঁ, ছবির প্রযোজক তাপসী প্রথমবারের মতো বাইরে কাজ করেছে। তিনি একজন সুপ্রতিষ্ঠিত নিয়মিত প্রযোজক। তার তো ভুল হতেই পারে। আরে ভাই সে তো মানুষ খুন করেনি। এখন আপনি তাকে নানাভাবে নাজেহাল করলে কি লাভ হবে ইন্ডাস্ট্রির? তাকে জরিমানা করেন বা শর্ত দেন, যা-ই করেন ছবিটি সময়মতো রিলিজ করতে দেন, যাতে তার মতো নিয়মিত প্রযোজক হতাশ না হয়ে যায়।
এমনিতেই নানা সময়ে অগণিত প্রযোজক দূরে সরে গেছে। আজ আমার ছবি দিয়ে কোনো প্রযোজক ব্যবসা করলে পরের ছবিতে অন্য একজন হিরোকে নিয়ে সে ট্রাই করবে। এতে ইন্ডাস্ট্রি বড় হবে।
আর, এই ভয়াবহ বাজারে যে প্রযোজক ছবি নির্মাণে আছেন তিনি ভীষণ প্রেম থেকেই কাজ করছেন। কিন্তু আপনি আপনারা তাকে নানা নীতিমালার ফাপরে অস্থির করে তুলছেন। সবার আগে এই ইন্ডাস্ট্রি তো দর্শকবান্ধব করতে হবে।