হঠাৎই লাইভে আসলেন একসময়ের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী আসিফ। দীর্ঘ ৫৪ মিনিটের লাইভের প্রথম অংশজুড়ে ছিল শিল্পী আসিফের বর্তমান ব্যস্ততার খবরাখবর। লাইভের দ্বিতীয় অংশেই ফাটলো বোমা।
সম্প্রতি প্রীতম আহমেদ ও শফিক তুহিন ফেসবুকে শিল্পী আসিফের নামে স্ট্যাটাস দেন। সেখানে তারা শিল্পী আসিফের নানা চারিত্রিক এবং পেশাগত দিক নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। সেইসব প্রশ্নেরই কড়া জবাব আসলো এবার অপরদিক থেকে।
আসিফ বলেন , শফিক তুহিন ও প্রীতম আহমেদ আমার নামে প্রচারণা চালাচ্ছেন যে আমি নাকি তাদের ১০০ কোটি টাকা মেরে দিয়েছি। এরপরই তিনি বলেন, প্রীতমের অনেক তথ্যই জানি আমি, আমার কাছে প্রীতম কোথা থেকে মাদক কিনতো সেই খবরও আছে। সেসব পুরনো কথা টানতে চাই না।
তিনি প্রীতমের পারিবারিক পরিচয় টেনে বলেন, প্রীতম মানসিকভাবে অসুস্থ, সাইকো, আমার নিজ হাতে তৈরি করা বেয়াদব। একজন প্রতিবন্ধী টাইপের ছেলে। তার ভাই মৃত, সে মানুষকে কষ্ট দেয়। সে চ্যানেল আইয়ের সাথে কোনভাবেই যুক্ত না। সারেগামাতে প্রোডুসার ছিল ওর বউ। বউয়ের নাম ভাঙিয়েই সে চলত। তার বিরুদ্ধে অর্থ কেলেংকারিও আছে।
শফিক তুহিনের ব্যাপারে আসিফ তার বক্তব্যের শুরুতেই বলে, শফিক তুহিন হচ্ছে ইন্ড্রাস্ট্রির নোংরাতম কীট।
এরপর তিনি বলেন, শফিক তুহিনের বড় ভাই তুফান। তাদের আব্বা দর্শণার কেরু কোম্পানিতে কাজ করতেন। সেখানেই তারা বড় হয়েছেন।
গীতিকার প্রদীপ সাহা অন্ধ হয়ে গেছেন শফিক তুহিনের কেনা কমদামি স্পিরিট খাওয়ার কারণে। শফিক তুহিনের পরামর্শেই তার এই অবস্থা হয়। ওরা প্রদীপ সাহার কাছ থেকেই খেত। ওরা নিজের টাকায় কোনদিন মদ খেয়েছে কিনা আমি জানি না।
প্রদীপ সাহাকে ড্রাঙ্ক রেখে শফিক তুহিন নিজে প্রদীপের কাজ থেকে তাকে বাদ দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন আসিফ।
এসময় শফিক তুহিনের ব্যক্তিগত জীবনে সেমন্তি নামের এক মডেলের হাতে জুতাপেটা হবার ঘটনাও বেশ অকপটেই বলেন আসিফ। বলেন, প্রকাশ্য দিবালোকে তাকে জুতাপেটা করা হয়েছিল একটি মেয়ে কী পরিমাণ বাধ্য হলে এ কাজ করে।
এরপর আসিফ বলেন , আমি ঘোষণা দিচ্ছি শফিক তুহিন আর প্রীতম যে যে কোম্পানিতে কাজ করবে আমি সেখানে কাজ করবো না। আর যে কোম্পানি ওদের সাথে কাজ করবে তারাও আমার সাথে কাজ করবেন না।
এসময় তিনি ইন্ডাস্ট্রিতে তার ভূমিকার কথা তুলে শফিক তুহিন ও প্রীতমকে বয়কটের আহ্বান করেন।
শেষ অংশে এসে তিনি গীতিকার সাংবাদিক রবিউল ইসলাম জীবনকে বাংলাদেশের নতুন হিটলার উপাধি দেন। তার মতে, এই ব্যক্তি সব কোম্পানিতে ঘুরে পার্সেন্টেজ নিয়ে গান করেন। তিনি কালের কণ্ঠকে এই সাংবাদিক গীতিকারকে চাকরিচ্যুত করার দাবি করেন।
এছাড়াও এই লাইভের শেষ অংশে সাংবাদিক জুলফিকার রাসেলকে উদ্দেশ্য করে বলেন, এই ধরণের লোকদের হাত থেকে আমাদের বেঁচে থাকতে হবে।