ঈদের নাটকের শুটিং নিয়ে এখন দারুণ ব্যস্ত আছেন অভিনেতা ও পরিচালক জাহিদ হাসান। এরইমধ্যে একটি এক ঘন্টার নাটক ও একটি সাত পর্বের ধারাবাহিকের কাজ শেষ করেছেন তিনি। জাহিদ অভিনীত এক ঘন্টার নাটকটির শিরোনাম ‘রমজান ভাই পাবলিক ফিগার’। আপেল মাহ্মুদের রচনায় নাটকটি পরিচালনা করেছেন শেখ সেলিম। বিভিন্ন চরিত্রে আরো অভিনয় করেছেন জাহিদ হাসান, তানিয়া বৃষ্টি, আব্দুল্লাহ রানা, খলিলুর রহমান কাদেরী, আনন্দ খালেদ, মোশাররফ হোসেন ও অরণ্য বিজয় প্রমুখ। আর সাত পর্বের ধারাবাহিকটির শিরোনাম ‘ফেয়ার প্লে’। পরিচালনা করেছেন আবু হায়াত মাহমুদ। ‘রমজান ভাই পাবলিক ফিগার’ নাটকের কাহিনীতে দেখা যাবে, রমজান ভাই পাড়ার বড় ভাই। কিছুটা মাস্তান টাইপের, কুকুর ছাড়া আর কাউকেই ভয় পান না। দুলাল আর শুভÑতার শিষ্য। রমজান ভাইয়ের আরেকজন শিষ্য হচ্ছে সাকিব। রমজান ভাইয়ের একটা ফেসবুক আইডি আছে। আইডিটা সাকিব খুলে দিয়েছে। আইডিতে রমজান ভাইয়ের বড় ভাই ও ভাবীর ছবি দেয়া আছে। সেখানে প্রায় হাজার তিনেক মানুষ তাকে ফলো করে। আইডিটা ব্যবহার করে সাকিব। রমজান ভাই ফেসবুকে যা আপডেট দেয় তা আসলে সাকিবই পোস্ট করে। রমজান ভাই পাড়ায় সবার কাছে সমীহ পায়। ফেসবুক হোক আর পাড়ার জুনিয়রদের সমীহ থেকেই হোক রমজান ভাই নিজেকে একটা পাবলিক ফিগার মনে করে। রমজান ভাইয়ের একটাই টেনশন, নাঈমা। নাঈমা পাড়ার সবচেয়ে সুন্দরী মেয়ে আর রমজান ভাইয়ের প্রেমিকা। প্রেমিকা মানে ওয়ান সাইডেড আর কি! রমজান ভাই এই একজনের কাছেই মোমের মতো নরম হয়ে যান। নাঈমা অবশ্য রমজান ভাইকে গুরুত্ব দেন না তেমন একটা। নাঈমার একটি সাদা রঙের বিদেশি কুকুর আছে। ওটাকে কুকুর বলে ডাকলে অবশ্য নাঈমা অনেক ক্ষেপে যায়। ওটার নাম বাদশাহ। বাদশাহ রমজান ভাইয়ের শত্রু। রমজান যে কয়দিন নাঈমার সাথে কথা বলার মতো সুযোগ তৈরি করেছিল তার সব ক’টাই ভেস্তে গেছে বাদশাহ’র কারণে। একসময় রমজান ভাই নাওয়া খাওয়া ছেড়ে দিল। আর এই তথ্য জানানোর জন্য দুলাল, শুভ আর সাকিব নাঈমার বাড়িতে গেল। কিন্তু কুত্তার দাবড়ানি খেয়ে পালিয়ে এলো। এমতাবস্থায় সাকিব হঠাৎ একদিন রমজান ভাইকে একটা খুশির খবর জানালো। নাঈমা ভাবীর একটা ফেসবুক আইডি আছে। সাকিব রমজান ভাইয়ের অনুমতি নিয়ে নাঈমা ভাবীকে একটা ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠালো। এভাবেই মজার ঘটনার মধ্যদিয়ে এগিয়ে চলে নাটকের কাহিনী। জাহিদ হাসান বলেন, ‘নাটকের গল্পটা সুন্দর। দর্শক আনন্দ পাবেন এটি দেখে। আমি আশাবাদী নাটকটি তাদের ভালো লাগবে।’